দেশকে অনিবার্য সংঘাতের হাত থেকে রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশ পর্যালোচনা ও অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু। ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে খুবই খারাপ সম্পর্ক তৈরি করেছে সরকার। আজকে আমরা ভিসা স্যাংশনের স্বীকার হয়েছি। পোশাক শিল্প হুমকির সম্মুখীন। বাংলাদেশের আকাশে কালো মেঘ জমেছে। এখান থেকে মুক্তি পেতে হলে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, দেশকে অনিবার্য সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজকে সবচেয়ে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। এর মূল কারণ বর্তমান সরকার ও শাসকগোষ্ঠী। তারা সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতায় নেই। তারা জনগণের মতামতকে পদদলিত করে ক্ষমতায় আছে। আবার তারাই বলে সংবিধান মোতাবেক ক্ষমতায় আছে। কী ধরনের ভণ্ডামি। আজকে এসব কারণে আমেরিকা সহ আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের কাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকার নাকি চাপে নতি স্বীকার করবে না। আমরা বলি চাপটা কীসের? আপনারা একগুঁয়েমি ও বাহাদুরি দেখাচ্ছেন। এটার পরিণতি হবে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। উত্তর কোরিয়ার মতো একনায়কতান্ত্রিক দেশ হবে বাংলাদেশ। যে কারণে মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আসছে। তারাও বাংলাদেশের সকল নাগরিকের মতো গণতন্ত্র দেখতে চায়। কিন্তু সরকার জনগণকে দেখতে পারে না। অন্যদিকে গোটা বিশ্ব জনগণের পক্ষে কথা বলছে। সুতরাং তারা বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। সময় এখন শেষ। সরকার যদি শুভ বুদ্ধির পরিচয় না দেয় বাংলাদেশ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবে। তবে আমরা এবি পার্টি গণতান্ত্রিকভাবে সকলের সঙ্গে আছি এবং থাকবো।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন