তপশিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদলসমূহের ডাকা ৯ম দফা অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড়, বিএনপি অফিস ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছ। শুধু বিন ইয়ামিন মোল্লা নয়, বিরোধীদলের সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সিনিয়র অনেক নেতাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা লকাপে রেখে মানসিক কষ্ট দিচ্ছে যেন তারা বের হয়ে রাজনীতি না করে। কারাগারে বন্দিদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। এটা স্পষ্টতই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৩ গুণ বন্দিকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকবে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। নাশকতার মামলায় জড়াতে পুলিশ ভয়-ভীতি দেখিয়ে গ্রেপ্তার বাণিজ্য করছে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করছে।
নুর বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ১৮টি গুপ্ত হামলা ও ৪টি গুপ্ত হত্যা ঘটেছে। চারজন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সরকারের প্রতি অনুরোধ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার করে দেশকে মিয়ানমারের মতো গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরা সংঘাত নয় শান্তি চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, বিভিন্ন জায়গায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করে, তারা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বনে-জঙ্গলে, পুকুর-বিলের ওপর মাঁচা তৈরি করে ঘুমাচ্ছে। সারা দেশে আওয়ামী টুর্নামেন্ট চলছে, যেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। ‘আমরা আর মামুরা’ মিলে ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, সিনি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, রবিউল হাসান, জিলু খান, আনিসুর রহমান, সহনারীবিষয়ক সম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা, যুবপরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন