স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ জনসমর্থন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তারা দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে।
আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ সময় আগামী শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাদ জুমা ঢাকায় ফের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আশরাফ আলী আকন।
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে নির্বাচনী তপশিল বাতিল, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন প্রবর্তন ও দেশ-জাতিসত্ত্বাবিরোধী অনৈসলামিক ও অবৈজ্ঞানিক শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ও সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাফেজ ছিদ্দিকুর রহমান, ডা. শহিদুল ইসলাম, কে এম শরিয়াতুল্লাহ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, হাফেজ মাকসুদুর রহমান ও মুফতি মাছউদুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি পাতানো নির্বাচন হলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। পোশাক খাতের রেমিট্যান্স বন্ধ হবে। শিল্প কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো শ্রমিক তাদের কর্ম হারিয়ে ফেলবে। পেটের দায়ে এসব শ্রমিকরা চুরি, ডাকাতি ছিনতাইয়ের পথে পা বাড়াবে। দেশে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটার ও শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনতা ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচন ঠেকাতে বদ্ধপরিকর।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, তেলবাজ মন্ত্রীরা দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি পাতানোর নির্বাচন করলে দেশবাসী শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করতে বাধ্য হবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত চলছে।
তিনি বলেন, এই সিলেবাস দিয়ে মনুষ্যত্ববোধ সম্পন্ন নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তিনি জাতিসত্ত্বাবিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করার জোর দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড় হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এসে সমাপ্ত হয়।
মন্তব্য করুন