নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন ও বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে একদফা আন্দোলনের ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি)।
শনিবার (৮ জুলাই) গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে এনডিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এনডিপির সভাপতি কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুনের (সোহেল) পরিচালনায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ নীলনকশার নির্বাচনের পর বাংলাদেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে না যে, এই সরকারের অধীন কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। এ সরকারের বিগত প্রায় ১৫ বছরের একটানা শাসন দেশকে একটি দুর্নীতির আখড়া করে ফেলা হয়েছে। সরকারদলীয় দুর্নীতিবাজরা দেশের অভ্যন্তরের সম্পদ লুট করে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে পাঠাচ্ছে, যার ফলস্বরূপ বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে পারছে না। সরকার এখন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এই অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদচ্যুত করা।
গত প্রায় ১৫ বছরের সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মানুষকে ভোটাধিকার না দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। সংবিধানে ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ হলেও ‘পুলিশ ও সন্ত্রাসীরাই সকল ক্ষমতায় উৎস’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপস্থিত সদস্যরা সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন স্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে যুগপৎ ও এককভাবে আন্দোলন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণ ও দলের পক্ষে যে কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণে এনডিপি সভাপতি আবু তাহের ও মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুনকে সর্বসম্মত ক্ষমতা দেয়।
উপস্থিত সবাই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন