কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, ৭ জানুয়ারি তার নির্বাচনী এলাকায় অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন পরিশ্রম করে নির্বাচনের মাঠ যথাসম্ভব নিরপেক্ষ রেখেছিলেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি এখন জাতীয় সমস্যা। এককভাবে কেউ এজন্য দায়ী নন। সম্মিলিতভাবে চেষ্টা না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। দোষারোপ করে সমস্যা সমাধান হবে না। তিনিসহ দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর প্রথম দিনের আলোচনায় ৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান বিএনপিকে কানাডার আদালতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে অ্যাখায়িত করেছে বলে দাবি করে বলেন, আমরা একাধিকবার বলেছি জঙ্গি সংগঠন যতদিন রাজনীতিতে বিচরণ করবে ততদিনই বাংলাদেশের ভোগান্তি হবে। এ সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হোক, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও বাংলাদেশকে ধ্বংসকারী উল্লেখ করে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন, কেমন করে বাংলাদেশে রাজনীতি করে?
সরকারি দলের সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল কঠিনতম, চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। বিএনপি–জামায়াত এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। সাংবিধানিক শূন্যতা হতো এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। তারেক রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হবে। এর মধ্য দিয়ে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তিনি তাদের স্বাগত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী তার কথা রেখেছেন। তিনি বলেন, উন্নয়নকে প্রধানমন্ত্রী শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। উন্নয়নকে কবিতার সঙ্গে তুলনা করা হলে তার কবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি দলের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মডেল এখন সারা বিশ্বে রোল মডেল।
এর আগে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন রহিত করার দাবি জানান। তিনি বলেন, পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ডলার সংকটের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রজ্ঞাপন ক্ষতিকারক হবে। তিনি এই প্রজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত। কিন্তু আগে বলা হয়েছিল জুন পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। এর ওপর ভিত্তি করে অনেকে চুক্তি করেছেন। এখন এটি বন্ধ করা হলে পোশাক শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে।
মন্তব্য করুন