ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, আজ ফিলিস্তিনের মা-বোনদের ওপর অমানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। জালেম ইসরায়েল তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আর তাদের পক্ষে সাফাই গাইছে আমেরিকা। এদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে।
শুক্রবার (৩১ মে) বাদ জুমা এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু গণহত্যা বন্ধ, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে এই গণমিছিল হয়।
চরমোনাই পীর সমাবেশে বলেন, আজকের গণমিছিল ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় সোচ্চার থাকে। বর্তমান সরকার ফিলিস্তিনির জন্য অনেক মায়াকান্না করে।
সরকারের দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, অথচ তারাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি লালন করেন। আওয়ামী সরকারের কাজ দেখে আমাদের হাসি আসে। যেসব সিনিয়র অফিসার তাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে, তাদের দুর্নীতির খবর সামনে আসার পর সরকার বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে জনগণকে বুঝ দিয়ে রাখছে। অথচ সরকার কী জানে না যারা দুর্নীতিবাজ তারা সবসময়ই দুর্নীতিবাজ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ছাত্রনেতা নূরুল বশর আজিজী, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ মুফতি ফরিদুল ইসলাম, আলামিন সোহাগ, উত্তর সভাপতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ।
দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, যুব আন্দোলন সভাপতি নেছার উদ্দিন ও মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকীর পরিচালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল হয়ে নয়াপল্টন ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
মন্তব্য করুন