যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়' প্রতিপাদ্যের আলোকে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আজ শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে হাইকমিশন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং শেখ রাসেলের উপর নির্মিত থিম সং এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া হাইকমিশনের উদ্যোগে এ দিবস উপলক্ষে ২১ ও ২২ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, শৈশব থেকে দূরন্ত প্রাণবন্ত সকলের আদরের ছোট শিশু শেখ রাসেল ছিল অত্যন্ত বিনয়ী ও পরোপকারী। বিভিন্ন বর্ণনায় শিশু শেখ রাসেলের যে আদর্শ চারিত্রিক বৈশিষ্টের রূপ পাওয়া যায়, তা সকল শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে কোমলমতি শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল আজ শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।
এ সময় দূতালয় প্রধান ও কাউন্সেলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য, কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) রাসেল রানা, পাসপোর্ট শাখার প্রথম সচিব মিয়া মো. কেয়ামউদ্দিন, প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রনব কুমার ঘোষ, প্রথম সচিব (শ্রম) এ এস এম জাহিদুর রহমান ও সুমন চন্দ্র দাস, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীনসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন