কাতারের ফিরোজ আবদুল আজিজ নামক স্থানে একটি মোটরসাইকেল দোকানে আগুন লেগে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি। অপর দুজন পাকিস্তানি। এদিকে বাংলাদেশি তিনজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি ফেনী জেলায় ও অপরজন নোয়াখালীর সেবারহাটের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
কাতারের বাংলাদেশি প্রবাসীদের সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটোরসাইকেল দোকানে কাজ করছিলেন কর্মচারীরা। এ সময় গাড়ির পার্টস ঝালাই করার সময় পেট্রলের সংস্পর্শে দোকানে আগুন লেগে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। দোকানের মালিক মামুন দোকানে থাকলেও প্রাণে বেঁচে যান।
নিহত বংলাদেশিরা হলেন দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া সোনাপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে মীর হোসেন ফরহাদ, ফেনী শহরের ৭নং ওয়ার্ডের বারাহিপুরের অচিনগাছ তলার দিল মোহাম্মদ ভূঞা বাড়ির বাসিন্দা মো. মাহফুজুর রহমান। অপরজন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার লিটন।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে কাতারে ফেনী শহরের সালাউদ্দিন মোড় এলাকার বাসিন্দা মামুনের মালিকানাধীন দোকানে কাজ করতে গিয়ে পেট্রলের সংস্পর্শে এসে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মালিক মামুন প্রাণে বেঁচে গেলেও দোকানের কর্মচারী ফরহাদ এবং মাহফুজ মারা যান।
জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর বশীদ মিলন বলেন, কাতারের দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে আগুনে মীর হোসেন ফরহাদের মৃত্যু হয়।
ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার বলেন, ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিন মোহাম্মদ ভুঁইয়া বাড়ির সন্তান মাহফুজ। জীবিকার তাগিদে প্রবাসে গিয়েছিলন। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মন্তব্য করুন