কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২২ এএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জুমার দিন আগে আগে মসজিদে গেলে যে প্রতিদান পাবেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

সপ্তাহের সাত দিনের মাঝে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র, মর্যাদাপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ দিন হচ্ছে জুমা। এই দিনটিকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন। পৃথিবীতে সূর্য উদিত হওয়া দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় দিন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং রাসুল (সা.) । শুধু তাই নয়, এই দিনে মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু করণীয়, যা পালন করলে মিলবে অপার সওয়াব ও পরকালীন সফলতা।

জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে কোরআন ও হাদিসে এসেছে অসংখ্য ফজিলতের বর্ণনা। তবে জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, আজানের সঙ্গে সঙ্গে আগেভাগে মসজিদে গমন করা। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে চলো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম—যদি তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা জুমআ : ৯)

এই আয়াত আমাদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা যে, আজান হওয়া মাত্রই দুনিয়াবি কাজকর্ম বাদ দিয়ে আল্লাহর ঘরে চলে যেতে হবে। শুধু নামাজ পড়লেই হবে না, বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদে পৌঁছানোই কাম্য। কেননা, রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে এমন এক পুরস্কারের কথা বলেছেন, যা কোরবানির সওয়াবের সঙ্গে তুলনীয়। সহিহ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, কে আগে মসজিদে গেলো, সে অনুযায়ী তার সাওয়াব নির্ধারিত হয়। কেউ পায় উট কোরবানির সাওয়াব, কেউ গরু, কেউ ভেড়া, আবার কেউ মুরগি কিংবা ডিম কোরবানির সাওয়াব!

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন,‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লিখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বোখারি : ৮৮১)

অর্থাৎ, জুমার দিন যত আগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া যায়, সওয়াবও তত বেশি। মসজিদে দেরি করে গিয়ে নামাজে শরিক হওয়া গেলেও, আগেভাগে না আসার কারণে অমূল্য সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যেতে হয়।

তাই যা করতে হবে—

১. জুমার দিন সূর্য ওঠার পর থেকেই নামাজের প্রস্তুতি নিতে শুরু করা

২. গোসল করে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা

৩. আজান হওয়ার আগেই মসজিদে গিয়ে ইবাদতের নিয়তে বসা

৪. ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা

৫. নামাজ শেষে বেশি বেশি দোয়া, জিকির ও ইস্তিগফার করা

৬. জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্তে (আসর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে) দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট নিজের প্রয়োজন পেশ করা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

কুষ্টিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রাণ ভোমরারা হতাশ হয়েছেন : নুর

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার চট্টগ্রামে সাংবাদিককে গলা টিপে হত্যাচেষ্টা

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

এনসিপির হয়ে নির্বাচন করব কিনা সিদ্ধান্ত নেইনি : আসিফ মাহমুদ

সবাইকে টেস্ট খেলানো জরুরি নয় : জোরাজুরিতে দেউলিয়ার শঙ্কা

প্রবাসেও আপ বাংলাদেশের কমিটি ঘোষণা 

ইসরায়েল পুড়ছে রেকর্ড তাপমাত্রায়

১০

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সহায়তার চেক দিল যমুনা অয়েল

১১

অসহায় পরিবারের দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা-অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান

১২

৩০০ আসনে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে গণতন্ত্র মঞ্চ 

১৩

ড্রোন শো পরিচালনার প্রশিক্ষণে চীন যাচ্ছেন ১১ জন

১৪

সামাজিক কাজে অবদান রাখায় নিবন্ধন পেল প্রভাত

১৫

স্বাস্থ্যের ডিজির আশ্বাসে মন গলেনি, নতুন কর্মসূচি ছাত্র-জনতার

১৬

শহীদ মিনারে কাফনের কাপড় পরে বস্তিবাসীদের অবস্থান

১৭

পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে : চরমোনাইর পীর

১৮

চট্টগ্রামে ১০ লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা মেয়রের

১৯

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ

২০
X