

আল্লাহতায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। প্রত্যেক মুসলমানের ওপর এই নামাজ ফরজ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা ত্বহা : ১৪)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)
রাব্বুল আলামিন আরও বলছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।
নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেক পুরুষের জন্য ফরজ নামাজ জামাতে আদায় করা ওয়াজিব। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, আর তোমরা যথাযথভাবে নামাজ পড় এবং জাকাত দাও আর নামাজিদের সঙ্গে (জামাতে) নামাজ আদায় করো। (সুরা বাকারা : ৪৩)
হাদিসেও একাধিকবার নামাজ আদায়ের কথা এসেছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপরও। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামাজ আদায় করা একাকী নামাজ আদায় করার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াবের। (বোখারি : ৬৪৫)
তবে কোনো কারণে জামাত ছুটে গেলে একাকী নামাজ আদায় করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বেশিভাগ সময় ঘরেই নামাজ আদায় করে নেন অনেকে। আর নামাজ আদায়ের স্থান হিসেবে বেছে নেন মেঝে কিংবা বিছানাকে। তবে কেউ কেউ দাবি করেন যে, বিছানার ওপর নামাজ হয় না। চলুন তাহলে জেনে নিই, আসলেই বিষয়টি এমন কি না।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ তার নিয়মিত লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে বলেন, নামাজের ১৩ ফরজের মধ্যে জায়গা পবিত্র হওয়া অন্যতম শর্ত। এ ক্ষেত্রে বিছানা পবিত্র হলে সেখানে নামাজ আদায়ে কোনো অসুবিধা নেই। তবে মনে রাখতে হবে, বিছানার তোশক নরম হওয়ার ফলে রুকু-সিজদা করার সময় যদি শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় কিংবা ঠিকভাবে নামাজের রোকনগুলো আদায়ে অসুবিধা হয়, তাহলে বিছানায় নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ। অন্যথায় বিছানার ওপর নামাজ আদায়ে কোনো অসুবিধা নেই।
মন্তব্য করুন