সম্প্রতি ‘ব্রেকিং নিউজ চালিয়ে যাও জ্বা-লিয়ে দেওয়া হলো ইউনুসের গ্রামীণ ভবন।। আলহামদুলিল্লাহ’ শীর্ষক ক্যাপশনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দাবি করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
তবে তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, প্রকৃত পক্ষে গ্রামীণ ভবন নামে কোনো স্থাপনা জ্বালিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পায়নি তারা। এ সংক্রান্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু পোস্টের কমেন্ট বক্সে দাবির পক্ষে একটি ভিডিও প্রমাণ হিসেবে দেওয়া হয়। তবে সেটি গ্রামীণ ভবনে আগুন দেওয়ার কোনো ভিডিও নয়। ঢাকার বসুন্ধরাতে অবস্থিত গ্রামীণ ফোন হেডকোয়ার্টারের সামনে বিক্ষোভের ভিডিও। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে তারা দেখে, ’সাবেকদের আন্দোলনে কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ গ্রামীণফোনের কর্মীরা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রয়েছে। যেটি গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করে একটি অনলাইন পত্রিকা। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ এবং বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কোম্পানির সাবেক একদল কর্মী, সেই ঘটনারই ভিডিও প্রচার করে আলোচিত দাবিটি করা হচ্ছে। উক্ত প্রতিবেদনে গ্রামীণ ভবন কিংবা আগুনের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ ভবন বলতে সাধারণত মিরপুরের গ্রামীণ টেলিকম ভবন বোঝানো হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভবনটি তালাবদ্ধ করা হলে, সে সময় ড. ইউনূস সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ভবনটি সম্প্রতি জ্বালিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানায় রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, গ্রামীণ ভবন জ্বালিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত যে দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মন্তব্য করুন