অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ডাক বিভাগের অধীনে থাকা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নগদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এবার আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অবিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গুপ্তা কলেজ অব বিজনেসের অ্যাডজাঙ্কট ইনস্ট্রাক্টর অব বিজনেস অ্যানালিস্ট এবং ডালাসের একটি বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ট্রেজারি বিভাগের বিশ্লেষণী দলের প্রধান শাফকাত রাব্বী অনীক।
শুক্রবার (৩০ মে) ফেসবুকে ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে এ নিয়ে লেখেন তিনি। পোস্টটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো౼
‘এই আতিক মোর্শেদ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির বন্ধুর কাছে ঘুষ চায়। সেই রাজনৈতিক ব্যক্তি দায়িত্ব দেয় আমারে সেইটা থামাইতে।
আমি একজন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কল দিয়ে বলি এরে থামাইতে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিজেকে নিরুপায় দাবি করেন।
বুঝতে পারি, এই আতিক জুলাই আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি। এদের খুঁটি এখন অনেক শক্ত।
আমি বলি, ভিক্টিমের কাছে অডিও রেকর্ড আছে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে ভাই আমার কাছে এমন আগেও অডিও আসছে আতিকের।
তবে তিনি জায়গামতো, মানে আন্দোলনকারীদের চেইন অফ কমান্ডে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
ওই দিকে রাজনৈতিক ব্যক্তি (যার বন্ধুর কাছে ঘুষ চাইছিল) সে তার সিস্টেম অনুযায়ী রাজনৈতিক ব্যবস্থা করেন।
কী সেই ব্যবস্থা?
যেই অফিসে আতিক ঘুষ চাইতে গেছিল, সেই খানে রাজনৈতিক পান্ডা বসায় দেন, যাতে আতিক আবার গেলে মাইর খায়।
আমার নতুন দায়িত্ব হয় এই খবরটাও আতিকরে জানানোর ব্যবস্থা করা।
আমি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে জাস্ট জানায় দেই সে যেন আতিককে বলে দেয় ওই অফিসে আর কোনো দিন না যাইতে।
এইটা একটা রিয়াল স্টোরি। যেহেতু আতিকের নাম এবং সীমাহীন দুর্নীতির খবর এখন প্রকাশ্যে এসে গেছে, তাই বললাম, এমন গল্প প্রচুর আছে।
বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই আছে।’
মন্তব্য করুন