সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
চিন্তা, দক্ষতা, দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গিতে মিল না থাকলেও পর্তুগালের ফুটবল সেনসেশন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ছায়ায় বেড়ে উঠেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ। অথচ সিআর সেভেন নামে পরিচিত রোনালদোর দর্শন হচ্ছে ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ এবং এই দর্শন সবসময় মেনে চলেছেন সিআর সেভেন। এই ফুটবল প্রতিভাকে আপনি পর্তুগালের ওসামা বিন লাদেন বলুন কিংবা মাদার তেরেসা বলুন, রোনালদোই সব। কারণ তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে, তিনিই দেশের সর্বকালের সেরা স্কোরার। অনেক আগেই পেছনে ফেলেছেন ইউসোবিও, লুইস ফিগোদের। তাই সবাই তাকে সমীহ করে চলে।
কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটা রোনালদোর পঞ্চম বিশ্বকাপ হলেও ব্রুনোর এটা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। তাই ব্রুনোকেও রোনালদোর ছায়া থেকে বেরিয়ে আপন আলো ফেলার সময় চলে এসেছে। ব্রুনো সেটা করতে পারবেন এবং তাকে এটা করতেই হবে।
উরুগুয়ের পক্ষে ব্রুনো ফার্নান্দেজের করা প্রথম গোলটির ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে চেষ্টা করেছিলেন রোনালদো। মাথায় না লাগলেও রোনালদো মনে করেছেন, গোলটি তার হেড থেকেই এসেছে এবং নিজের মাথা দেখিয়ে তিনি গোলটি উদযাপনও করেছেন। তবে ম্যাচ শেষে ফিফাও এক টুইটে জানিয়ে দিয়েছে ব্রুনোর ক্রস থেকেই পর্তুগালের প্রথম গোলটি এসেছে। ওটা ক্রেডিট পাবেন ব্রুনো। অবশ্য রোনালদো যখন গোল উদযাপনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই স্টেডিয়ামের লাউড স্পিকারে জানিয়ে দেওয়া হয়, রোনালদো নয়, ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলেই এগিয়ে গেছে পর্তুগাল।
রোনালদো নিজেও তার অভিব্যক্তিতে ব্যাপারটি নিয়ে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন, মাথা দেখিয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছিলেন ফার্নান্দেজের ক্রসে তিনি হেড করেছেন।
ব্রুনোর অভিব্যক্তি আর ত্যাগই বলে দেয়, ২৮ বছর বয়সী এই তারকা রোনালদোর ছায়া থেকে বের হতে শেখেননি। কিন্তু পর্তুগালের দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। সেটি করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজই, আর সেটি পেনাল্টি থেকে। উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচে জোড়া গোল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার। এটাই এখন অফিশিয়ালি স্বীকৃত।
তার পরও ম্যাচ শেষে ব্রুনো নিজেই প্রথম গোলটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রথম গোলটি রোনালদোর বলেই ধারণা ব্রুনোর, ‘আমার মনে হচ্ছে, বলটা রোনালদোর মাথা স্পর্শ করেছিল। গোলটা সে-ই করেছে। তবে আসল ব্যাপার হচ্ছে, আমরা ম্যাচটা জিতেছি এবং আমরা শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছি। আজকের ম্যাচটি যথেষ্ট কঠিনই ছিল।’ ব্রুনো এটাও বলেছেন, ‘আমি গোলটা উদযাপনও করেছি ক্রিশ্চিয়ানোর গোল মনে করে। পরে দেখলাম সেটি তাকে না দিয়ে আমাকে দেওয়া হয়েছে।’
পর্তুগাল আগামী শুক্রবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এক ম্যাচে টানা দুই গোল করার সুবাদে ব্রুনো ধীরে ধীরে রোনালদোর ছায়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ পেয়ে গেছেন। তার জোড়া গোল তাকে এই পথ মাড়াতে উৎসাহ জোগাতে পারে।
ইউরোপের বুকে যেসব মিডফিল্ডার গোলসংখ্যায় এগিয়ে রয়েছেন, তাদের মাঝে ব্রুনোর নামটিও আছে। কিন্তু সব সময় রোনালদোর সহকারীর ভূমিকা পালন করায় ব্রুনোকে কম নিন্দার শিকার হতে হয়নি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটা ব্রুনোর দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আগামীতে তার ওপর চাপ বাড়বে।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তায় অস্থায়ী সিসি ক্যামরা স্থাপনের পরিকল্পনা সিএমপির