সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনব্যাপী সংঘাতে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি প্রমাণ করলেও, ইরানের সামরিক সক্ষমতায় একটি স্পষ্ট দুর্বলতা সামনে এসেছে—এটি হলো আধুনিক যুদ্ধবিমানের অভাব। এই অভাব ইরান কৌশলগতভাবে টের পেয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে সম্ভাব্য উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন চলেছে।
সম্প্রতি কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ইরান চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে চুক্তি করেছে। ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাতে কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় এই যুদ্ধবিমান নিয়ে আগ্রহ বাড়ে, এবং খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ইরান সরকার এই তথ্য সরাসরি অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শনিবার (২৮ জুন) ইরানের একটি বিশ্বস্ত সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, চীনের একটি সংবাদমাধ্যমকে কেন্দ্র করে কিছু আন্তর্জাতিক রিপোর্ট দাবি করেছে, ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ তার বেইজিং সফরে জে-১০সি কেনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এটি মিথ্যা এবং ইহুদি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের ছড়ানো প্রোপাগান্ডা।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীন সফর করেন। এরপরই এই গুজব ছড়াতে থাকে যে, তিনি যুদ্ধবিমান কেনার উদ্দেশ্যে চীন গেছেন।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের ব্যাখ্যায় জানা যায়, এই সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা। অস্ত্র ক্রয় এই আলোচনার অংশ ছিল না।
সূত্র : মেহের নিউজ
মন্তব্য করুন