একটা সময় পরিচালনা পর্ষদে থাকা সাবেক সদস্যদের আবারও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দেখা যাচ্ছে। বোর্ডকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আজ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বিসিবির দায়িত্বে থাকাদের এই দলের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
বৈঠকে সাবেক বিসিবি সহসভাপতি শাহ নুরুল কবির শাহীনের নেতৃত্বে সাবেক বোর্ড পরিচালক কাজী মহিউদ্দিন বুলবুল, রফিকুল ইসলাম বাবু, রেদোয়ান ফুয়াদ, শফিকুল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শহীদ, কাইয়ুম চৌধুরী, মো. জাহিদ হোসেন, আসাদুজ্জামান ও ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মজিদ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ সময় পর বিসিবিতে আসার স্বস্তি প্রকাশ করে সাংবাদিকদের শাহ নুরুল কবির শাহীন বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট খেলেছি, ক্রিকেট সংগঠক ছিলাম, এখনো আছি। সুতরাং ক্রিকেটের মায়া আমরা ত্যাগ করতে পারব না। আমরা বিসিবি প্রধানকে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে গেলাম।’
ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহিউদ্দিন বুলবুল বলেন, ‘একটা সময় আমাদের ক্রিকেট বোর্ড থেকে চলে যেতে হয়েছিল। যেহেতু আমরা সংগঠক, সেজন্যই ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এ বোর্ডকে সমর্থন জানাতে এসেছি। ভবিষ্যতে খেলার উন্নয়নে আমাদের সমর্থন থাকবে।’
২০০৭ সালে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার অভিযোগ তোলেন আরেক সাবেক বিসিবি পরিচালক কাইয়ুম চৌধুরী। বিভিন্ন সময় বোর্ডের আর্থিক বিভাগগুলোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। গত ১৭ বছরে বিসিবিতে হওয়া বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে ১৭ বছরে। আমরা নির্বাচিত একটা বোর্ড ছিলাম, আমাদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছিল। এরপর যারাই দায়িত্ব ছিলেন, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আমরা বর্তমান সভাপতির কাছে বলে এসেছি বোর্ডের দুর্নীতির একটা পত্র প্রকাশের জন্য। কীভাবে এত দুর্নীতি হলো তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
উল্লেখ্য যে, গত ১৭ বছরে বিসিবির আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি দুর্নীতিও হয়েছে অনেক। সেসব তথ্য এখন সবার সামনে আসুক, এমনটাই চাওয়া
মন্তব্য করুন