বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধ নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। অবশেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ এক গঠনমূলক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে—যেখানে প্রথমবারের মতো টিকিট বিক্রির রাজস্ব ভাগ পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে শর্ত একটাই—খেলোয়াড়দের পাওনা পরিষদ করে দেখাতে হবে।
সোমবার আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় মূল আলো0চনার বিষয় ছিল দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রাপ্য বেতন, বিশেষ করে প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে নির্বাচিতদের অর্থ পরিশোধ নিয়ে জটিলতা। গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পেরেছে, তাদের জন্য এবার ঈদুল আযহার আগেই বরাদ্দ দেওয়া হবে টিকিট বিক্রির রাজস্ব থেকে একটি অংশ।
প্রাথমিক বরাদ্দের পরিমাণ:
তবে এ অর্থ পুরোপুরি পাওয়ার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অবশ্যই সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের লিখিত স্বীকৃতি জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আর্থিক স্বচ্ছতা ও খেলোয়াড়দের প্রতি দায়িত্ববোধের একটি বড় উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিসিবি শুধু অর্থ সহায়তায় থেমে থাকছে না, বরং গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যারা একাধিকবার নোটিশ পেয়েও খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এবার নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ।
বিসিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে চুক্তিভিত্তিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব। যারা নিয়ম মানছে, তাদের আমরা সহায়তা করব; আর যারা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলোয়াড়দের পাওনা আটকে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সিদ্ধান্ত বিপিএলের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তা ও পেশাদারিত্ব রক্ষা করার মাধ্যমে বিসিবি দেখিয়ে দিলো, মাঠের বাইরের লড়াইটাও তারা সমান গুরুত্বের সাথে নেয়।
বিপিএলের রাজস্ব ভাগাভাগি এবং খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ নিয়ে এই উদ্যোগ শুধু আর্থিক নয়, বরং নৈতিক ও পেশাদারিত্বের মানদণ্ডেও নতুন মাইলফলক গড়ল। এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা কতটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে।
মন্তব্য করুন