এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আগামী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ঢাকায় হলে তারা তা বয়কট করবে। ২৪ জুলাই ঢাকায় এই সভা আয়োজনের কথা রয়েছে, কিন্তু তার আগেই বিসিসিআই তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—সভাস্থল পরিবর্তন না হলে তারা অংশ নেবে না এবং যে কোনো সিদ্ধান্ত বর্জন করবে।
সূত্রের বরাতে ‘এএনআই’ জানিয়েছে, বিসিসিআই ইতোমধ্যেই সভার ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ করেছে, তবে এখনো এসিসি সভাপতি মহসিন নকভি এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেননি। বিসিসিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে— ‘ঢাকা থেকে সভার ভেন্যু না সরানো হলে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয়। আমরা অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। এখন যদি মহসিন নকভি সভা এগিয়ে নিয়ে যান, আমরা সেখানে গৃহীত কোনো প্রস্তাবই মেনে নেব না।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, মহসিন নকভি বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের পাশাপাশি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার এই দ্বৈত ভূমিকা ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এ বছর এশিয়া কাপ হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ভারতীয় উপমহাদেশে সেপ্টেম্বরে সম্ভাব্য সময় ধরা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সূচি বা ভেন্যু ঘোষণা করেনি এসিসি। যদিও আয়োজক হিসেবে ভারতের নাম থাকলেও বিসিসিআই চায়—নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনায় বাংলাদেশে না হয়ে সভা হোক অন্য কোথাও।
এই সংকট নতুন নয়। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান সফর না করায় তাদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করা হয়। একই ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও, যেখানে ভারতীয় দল সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছে।
এর আগে মে মাসে গুঞ্জন উঠেছিল, ভারত হয়তো পুরুষদের এশিয়া কাপ ও মেয়েদের ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। তবে তখন বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়া সেসব গুজব উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত। আমরা এসিসির সঙ্গে কোনো ধরনের প্রত্যাহারের বার্তা দিইনি।’
এখন দেখার বিষয়, এজিএম ঢাকায় হয় কি না, আর যদি হয়, তাহলে বিসিসিআইর অবস্থান কী হয়। তবে আপাতত এটুকু পরিষ্কার—চলতি বছরের এশিয়া কাপ আয়োজন বড়সড় অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন