ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন জার্সি স্পনসরশিপ নিয়ে চূড়ান্ত হইচই চলছে এক প্রকার। বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এবার গিল-বুমরাহদের জার্সির সামনে নাম লেখাতে চাইলে কোম্পানিগুলোকে গুনতে হবে আকাশছোঁয়া অঙ্ক। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রতিটি ম্যাচে স্পনসরশিপ ফি ধরা হয়েছে ৩.৫ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪.৭ কোটি টাকা। আর বহুজাতিক আসরে (আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের টুর্নামেন্টে) নির্ধারিত হয়েছে ১.৫ কোটি রুপি, অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি টাকা।
এতে করে আগামী তিন বছরের চুক্তি মেয়াদে অন্তত ১৩০টি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। এর মাধ্যমে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে জমতে পারে ৪০০–৫০০ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৪০–৬৭০ কোটি টাকা। তবে বিডিং প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা বাড়লে এই অঙ্ক আরও উঁচুতে উঠতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট অর্থনীতিবিদরা।
এদিকে এশিয়া কাপের (শুরু ৯ সেপ্টেম্বর) আগেই নতুন স্পনসর নামার সম্ভাবনা নেই। বিসিসিআই জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী কোনো স্পনসর আনা হবে না। তাই এশিয়া কাপে গিল-বুমরাহদের জার্সি থাকছে ব্র্যান্ডিংবিহীন।
উল্লেখ্য, গত চুক্তিতে স্পনসর ছিল ড্রিম–ইলেভেন। তবে ভারতের নতুন অনলাইন গেমিং আইন কার্যকর হওয়ায় বাস্তব অর্থভিত্তিক গেমিং প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবেই আগেভাগে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয় তারা।
বিসিসিআই এবার বিশেষভাবে স্পনসরদের জন্য কিছু খাত বন্ধ করে দিয়েছে—যেমন গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টো, তামাক, স্পোর্টসওয়্যার, ব্যাংক–ফাইন্যান্স, বীমা কিংবা কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। মূলত বিদ্যমান স্পনসরদের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
ভারতের ক্রিকেট জার্সি সবসময়ই বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোর কাছে আকর্ষণীয়। তাই সেপ্টেম্বর ১৬–এর নিলামে কে বাজিমাত করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন