এশিয়া কাপে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৫৮ রানের জবাবে ব্যাট করছে বাংলদেশ। ওপেনিংয়ে উড়ন্ত সূচনার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা। তবে তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে জয়ের জন্য লড়াই করছে বাংলাদেশ।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কুশাল মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমার জোড়া ফিফটিতে বাংলাদেশকে ২৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ভাল সূচনার পরও ৮৩ রানের মধ্যে টপঅর্ডারের চার ব্যাটারকে হাঁরায় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার ২৫৮ রানের জবাবে প্রথম পাওয়ার প্লেতে দলীয় ৫০ রান পার করে বাংলাদেশ। ৫৫ রানের মাথায় টাইগার শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা। মিরাজকে ২৮ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান শানাকা। আরেক ওপেনার নাঈম শেখও টেস্ট মেজাজে ৪৬ বল খেলে ২১ রানে লঙ্কান অধিনায়কের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
৭০ রানের মাথায় বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিবকে ৩ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন পাথিরানা। ৮৩ রানে ব্যক্তিগত ১৫ তে কাটা পড়েন লিটন কুমার দাস। দল যখন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে তখন টাইগারদের হয়ে হাল ধরেছেন মুশফিক ও হৃদয়। তাদের ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে টাইগার সমর্থকরা।
এর আগে টস হেরে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ওপেনার করুনারত্নেকে ১৭ রানে আউট করেন পেসার হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস। তবে শরীফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর হয়ে ৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি তুলে শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কার দলীয় ১৪৪ রানে চারিথ আশালঙ্কাকে অধিনায়ক সাকিবের ক্যাচ পরিণত করেন তাসকিন। এর ২২ রান পর লঙ্কান অলরাউন্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান হাসান মাহমুদ। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক শানাকাকে নিয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ ৬০ রানের জুটি গড়েন সামারাবিক্রমা। লঙ্কান দলপতি ২৮ রানে বোল্ড হন সেই হাসান মাহমুদের বলে। ওয়াল্লাগেকেও ৩ রানে রান আউট করেন এই পেসার। ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন সামারাবিক্রমা । ৭২ বলে ৯৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ডানহাতি এই ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন হাসান মাহমুদ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শরীফুল দুইটি উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন