পাকিস্তান-ভারতের মুখোমুখি লড়াই হলে সেই ম্যাচ যে শুধু খেলা থাকে না—রূপ নেয় এক মহাযজ্ঞে তা ক্রিকেটভক্তরা ভালোভাবেই জানে । আর এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফাইনালে নামছে মুখোমুখি। ফলে প্রত্যাশিতভাবেই দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২৮ হাজার আসনের টিকিট মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে। আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন, ফাইনালের জন্য ভেন্যুটি এখন ‘হাউসফুল’।
এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে (১৪ সেপ্টেম্বর) ২০ হাজার আর সুপার ফোরের লড়াইয়ে (২১ সেপ্টেম্বর) ১৭ হাজার দর্শক গ্যালারিতে ভিড় করেছিলেন। কিন্তু ফাইনালের আগ্রহ সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গেছে। ইতিহাসের প্রথম পাকিস্তান-ভারত এশিয়া কাপ ফাইনালকে ঘিরে উত্তেজনা ছুঁয়েছে চরমে।
সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে পাকিস্তান। এর আগে টুর্নামেন্টের প্রতিটি প্রতিপক্ষকে হারালেও, ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে বাবরবিহীন সবুজ জার্সিধারীরা। ওপেনার অভিষেক শর্মা ও স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ভারতীয় দল বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান ও বোলারকে নিজেদের দলে পাচ্ছে।
তবে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি পারদ চড়েছে বিতর্কেও। ১৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে টসের সময় ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের করমর্দন এড়িয়ে যাওয়া এবং পরের রাজনৈতিক মন্তব্য নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে তোলপাড় হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অভিযোগের পর আইসিসি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্কও করেছে।
সব উত্তেজনা ও চাপের মধ্যেও পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা শান্ত কণ্ঠে জানিয়েছেন, ‘উভয় দলের ওপর চাপ সমান থাকবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব জয়ের জন্য।’
রোববার দুবাইয়ে যখন পাকিস্তান-ভারত নামবে শিরোপার লড়াইয়ে, তখন ক্রিকেটবিশ্বের চোখ থাকবে এই ম্যাচে। রাজনৈতিক উত্তেজনা, অতীতের দ্বন্দ্ব আর বর্তমানের ফর্ম—সবকিছু মিলে এশিয়া কাপ ফাইনাল হতে যাচ্ছে এশীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়।
মন্তব্য করুন