পাকিস্তানের হাতে থাকা পরমাণু অস্ত্র সৌদিতে যাচ্ছে কি না তা নিয়ে এবার স্পষ্ট মন্তব্য করলেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ। সৌদি আরবের সঙ্গে সদ্য স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, চুক্তির আওতায় পাকিস্তান কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র বিক্রি করছে না। তার ভাষায়, ‘আমরা দায়িত্বশীল জাতি।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিয়াদে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ঐতিহাসিক ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’-তে স্বাক্ষর করেন। দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এই চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে সেটিকে উভয় দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ইসরায়েলের কাতার হামলার এক সপ্তাহ পর চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দাবি করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি নাকি এই চুক্তির অংশ। বিষয়টি দ্রুত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।
এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সাংবাদিক মেহেদী হাসানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন খাজা আসিফ। সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ‘এই চুক্তি কতটা ইসরায়েলের কাতার হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্বাক্ষরিত?’
জবাবে আসিফ জানান, এটি কোনো প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নয়। বরং দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার পর চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে। তার ভাষায়, ‘এটি দুই দেশের দীর্ঘ সম্পর্ককে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আগে সম্পর্ক কিছুটা লেনদেননির্ভর ছিল, এখন তা আনুষ্ঠানিকভাবে দৃঢ় হলো।’
এরপর তাকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়—‘এই চুক্তির অধীনে কি সৌদি আরব পাকিস্তানের পারমাণবিক ছাতার সুরক্ষায় রয়েছে?’
জবাবে আসিফ বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের পাঁচ-ছয় দশকের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে চার-পাঁচ হাজার সেনা সেখানে মোতায়েন ছিল। এখনো আমাদের সামরিক উপস্থিতি বিদ্যমান।’
তবে তিনি পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বিস্তারিত আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানান। তার ভাষায়, ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি সাধারণত প্রকাশ্যে বিশ্লেষণ করা হয় না।’
সূত্র : জিও নিউজ
মন্তব্য করুন