ভারত-পাকিস্তান মানেই ক্রিকেটে মহারণ। কিন্তু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে একই ফাইনালে দেখা মেলে বিরলভাবেই। ২০২৫ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সেটি আরও বাড়িয়ে দেয় একটি ঐতিহাসিক স্মৃতি—২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। ওভালে সে দিনটিই ছিল শেষবার যখন কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। আর সে স্মৃতি এখনো দগদগে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
ওভালের অবিস্মরণীয় দিন
লিগ পর্বে পাকিস্তানকে ১২৪ রানে হারিয়েছিল বিরাট কোহলির ভারত। তাই ফাইনালে তারা ছিল স্পষ্ট ফেভারিট। কিন্তু পাকিস্তান, যাদের বলা হয় ‘অপ্রত্যাশিতদের দল’, সেদিন একেবারে উল্টে দেয় ছবিটা। ফখর জামানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১১৪), আজহার আলি ও হাফিজের অর্ধশতকে ভর করে পাকিস্তান তোলে ৩৩৮ রান। অথচ ফখরকে ৩ রানে ফেরানোর সুযোগ ছিল ভারতের হাতে—জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ক্যাচ হলেও তা দাঁড়িয়ে যায় নো-বল। ইতিহাসের মোড় সেখানেই ঘুরে যায়।
আমিরের ঝড়ে ভারতের ধস
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান আর কোহলি—তিন তারকাকেই ৬ ওভারে ১৬ রানে গুঁড়িয়ে দেন মোহাম্মদ আমির। ভারতের রানের গতি আর দাঁড়াতেই পারেনি। হার্দিক পান্ডিয়ার ৪৩ বলে ৭৬ রানের ঝড় কিছুটা আশার আলো জ্বালালেও, রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তার রানআউট সেই আলো নিভিয়ে দেয়। যুবরাজ সিং আর ধোনির অভিজ্ঞতাও দিন বাঁচাতে পারেনি।
১৮০ রানের লজ্জাজনক হার
প্রায় ২০ ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তান নিশ্চিত করে ঐতিহাসিক জয়। ১৮০ রানের এই হার ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এখনো অন্যতম বড় আঘাত। পাকিস্তান তোলে তাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আর ভারত ফেরত যায় তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে।
২০২৫: নতুন গল্প?
আজ, আট বছর পর, আবারও ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। ভারতকে ধরা হচ্ছে ফেভারিট, পাকিস্তানকে অনেকেই দিচ্ছেন না তেমন গুরুত্ব। তবে ইতিহাস বলে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ম্যাচে কখনোই নিশ্চিত কিছু থাকে না। ওভালের মতো আরেকটি চমক কি অপেক্ষা করছে দুবাইয়ে?
মন্তব্য করুন