আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা কয়েকজন প্রার্থী এবার সরাসরি সামনে এনে দিয়েছেন তিনটি প্রস্তাব— বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ কিছুদিন বাড়ানো, প্রয়োজনে অ্যাডহক কমিটি গঠন এবং নির্বাচন পিছিয়ে নতুন করে সময়সূচি নির্ধারণ। মূল যুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া সংগঠকদের অনুপস্থিতিতে এই নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
বুধবার ছুটির দিনেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম ও আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের মির্জা ইয়াসির আব্বাস। সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফুয়াদ রেদুয়ান।
যদিও প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি, পরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে দাবিগুলো পৌঁছে দেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এখানে ভালো ক্রীড়া সংগঠকরা নেই। আমরা চাই, তারা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তাই সময় বাড়ানো, অ্যাডহক কমিটি বা পুনর্নির্ধারিত তারিখ—যে কোনো পথে সমাধান খুঁজে নিতে হবে।’
রফিকুল আরও জানান, ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে কোয়াবের মাধ্যমে অনেক ক্রিকেটার, এমনকি তামিম ইকবালও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিমসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তাদের মধ্যে অনেকে নির্বাচনের ‘ফিক্সিং’ বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে ‘অভিভাবক’ আখ্যা দিয়ে রফিকুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি উনি যথাযথ সুন্দর একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। যেন ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
এদিকে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তা গতকাল দুপুর পর্যন্ত ই-মেইলে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর সুযোগ ছিল। তবে আপত্তি জানানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
সব মিলিয়ে বিসিবির নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে যেমন নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে—দাবিদাওয়া, প্রতিবাদ আর প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোয় নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন আদৌ হবে তো?
মন্তব্য করুন