টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে শান মাসুদের দল। এর আগে ২০২১ সালে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তান। সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের বিকল্প দেখছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হবে সিরিজের শেষ টেস্ট।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্ব সেরার তকমা নিয়ে চতুর্থ চক্রে নিজেদের প্রথম সিরিজে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় প্রোটিয়ারা। সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের স্পিনারদের সামনে আত্মসমর্পন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টের চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৩ রানে হারায় পাকিস্তান।
পুরো টেস্টে ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৪টিই শিকার করেন পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ২০ উইকেটের ১৬টি নিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে একাদশে বাড়তি স্পিনার নিয়ে খেলার কথা জানালেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ আজহার মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সিরিজের শেষ ম্যাচে আমরা একজন স্পিনার বেশি নিয়ে খেলার পরিকল্পনা করছি। সেক্ষেত্রে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ বা নতুন মুখ আসিফ আফ্রিদি একাদশে সুযোগ পেতে পারেন।’ আজহার আরও বলেন, ‘প্রথম টেস্টে আমাদের স্পিনারদের খেলতে সমস্যা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। এজন্য আরও একজন বেশি স্পিনার খেলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সকালের উইকেট দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইনজুরি থেকে সুস্থ হওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের দলে ফিরছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা স্পিনার কেশব মহারাজ। তার ফেরা দলকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। তিনি বলেন, ‘মহারাজ পুরোপুরি ফিট। দলের জন্য নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তার ফেরা দলকে উজ্জীবিত করবে। সিরিজ হার এড়ানোর জন্যই আমরা মাঠে নামব। শেষ ম্যাচে জয় পাওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।’
এখন পর্যন্ত টেস্ট ফরম্যাটে ৩১ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান। এর মধ্যে পাকিস্তানের জয় ৭টিতে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ১৭ ম্যাচে। ৭ টেস্ট ড্র হয়।
মন্তব্য করুন