হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘ওয়াশব্লক’ প্রকল্পের কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই বছর আগে বাহুবল উপজেলার ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘ওয়াশব্লক’ প্রকল্পের কাজ শুরু করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।
বিদ্যালয়গুলো হলো, উপজেলার মিরপুর ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জাটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আব্দাপটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ‘আর.এম ট্রেডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, দরপত্র অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ করতেই লেগে যায় প্রায় ১ বছর। একপর্যায়ে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর.এম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মনির আহমেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যে কারণে তার বিরুদ্ধে হয় রাজনৈতিক মামলা। পরে তিনি কাজ ফেলে চলে যান আত্মগোপনে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাহুবল উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী রুমন রায় বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদার নিখোঁজ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। যে কারণে আমরা দরপত্র বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি৷
তিনি আরও বলেন, হয়তো নতুন দরপত্র ঘোষণা হবে নতুবা জেলার অন্যান্য উপজেলায় চলমান একই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মন্তব্য করুন