আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ষষ্ঠ শিরোপা বলতে গেলে একাই জিতিয়েছেন ট্রাভিস হেড। অথচ তার বিশ্বকাপে প্রথমে থাকা নিয়েই ছিল সন্দেহ। ভারত বিশ্বকাপ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হওয়া ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে জেরল্ড কোয়েটজের বাউন্সারে বাম হাতে চোট পান বাঁ হাতি এই ওপেনার। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ার পরেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। ঠিক কী কারণে রাখা হয়েছিল, তার প্রমাণ আজ দলকে ট্রফি জিতিয়ে দিলেন ট্রাভিস হেড।
বিশ্বকাপে নিজের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঝড়ো সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। পরে কয়েক ম্যাচ ব্যর্থ হলেও সেমিফাইনালে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এরপর ফাইনালে খেললেন ১৩৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। অথচ পঞ্চাশ পেরুনোর আগেই দলের তিন উইকেটের পতন বাড়তি চাপ ফেলেছিল তার উপর।
সেখান থেকেই মার্নাস ল্যাবুশেনকে নিয়ে খেলেছেন ম্যাচজয়ী ইনিংস। দরকারে বুঝে শুনে এগিয়েছেন। আবার কখনো পাল্টা আক্রমণ করে ভারতীয় বোলারদের মনোবল ভেঙেছেন। তার চার ছয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারি। দরকারের সময় বাউন্ডারি বের করে এনে ম্যাচটাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে এসেছিলেন এই হেডই।
তবে শুধু ব্যাট হাতেই না, ফিল্ডিংয়েও হেড ছিলেন অনন্য। ম্যাচে যখন রোহিত শর্মা ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইন্ডিয়ার রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন তখন হেডের এক দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নের ফিরতে হয় ভারতের অধিনায়ককে। তারপর ভারত আর ম্যাচে ফিরতে পারিনি। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ ম্যাচের এই মুহূর্তকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে অবহিত করছে।
তাই ফাইনালে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং এ অসামান্য দক্ষতা দেখানোর জন্য যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই ম্যান অব দ্য ফাইনালের পুরস্কারটি উঠেছে ট্রাভিস হেডের হাতে।
মন্তব্য করুন