শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের দুঃসময় যেন শেষই হচ্ছে না। একেতো এবারের বিশ্বকাপে ভরাডুবিতে ১০ দলের মধ্যে ৯ নম্বর হয়ে শেষ করতে হয়েছে লঙ্কানদের। এতে করে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও খেলা হচ্ছে না মেডিন্স-মাধুশাঙ্কাদের। তবে এর চেয়েও বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে দেওয়া আইসিসির নিষেধাজ্ঞা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে শ্রীলঙ্কা নিষিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে তারা আগামী বছরের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্বও হারিয়েছে।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর বসরা কথা ছিল তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেখান থেকে সরিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আহমেদাবাদে আইসিসির এক জরুরি সভায় আজ (মঙ্গলবার) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই রোববার ভারতের আহমেদাবাদে পর্দা নেমেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। সেখানে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের ভেন্যুতেই আয়োজিত হয়েছে আইসিসির আনুষ্ঠানিক সভা। এই সভায় আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, লঙ্কান ক্রিকেট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আগেই শোনা গিয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। এর আগে ১০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে সাময়িক সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তাদের সদস্য পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকের বৈঠকেও বহাল রাখা হয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞা। সহসাই লঙ্কানরা সদস্য ফিরে পাচ্ছে না বলেই সেখান থেকে আসন্ন বিশ্বকাপও সরিয়ে নেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত।
এক সূত্রের বরাতে ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ‘সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা এখনই উঠিয়ে নেওয়া হবে না। ফলে দেশটিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্রিকেট চালু থাকবে।’ আইসিসির এই সভায় অংশগ্রহণ করেছে সাম্প্রতিক সময়ে লঙ্কান বোর্ডের (এসএলসি) সভাপতি পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শাম্মি সিলভা।
পূর্বানির্ধারিত সূচি অনুযায়ী– অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়ার কথা রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০। যার সূচি রয়েছে ১০ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের (সিএসএ) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুটি টুর্নামেন্টই একই সময়ে আয়োজন করা যেতে পারে। টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটি স্বাধীনভাবে আয়োজনের সুযোগ রয়েছে সিএসএ’র স্বায়ত্তশাসিত কমিটির।
মন্তব্য করুন