স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনে মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদে বগুড়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় মাটিডালি ক্রীড়াচক্র এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই সময় সংগঠনটির সদস্য, তরুণ ক্রিকেটার, মাটিডালি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধনে অংশ নেন। সেখান থেকে প্রিয় ক্রিকেটারকে অবমাননাকারীকে বিসিবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন মুশফিকের ভক্তরা। পরে মানববন্ধনে শেষে অংশগ্রহণকারীরা বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বরাবর মুশফিকুর বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন প্রতিবেদন’ প্রকাশের প্রতিবাদে স্মারক লিপি জমা দেয়।
সম্প্রতি দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা মুশফিকুর রহিমের আউট হওয়া নিয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনে একটি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে সমালোচনার ঝড় সামলাতে না পেরে ভিত্তিহীন সেই সংবাদটি নিজেদের প্রচার মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলে ক্ষমাও চেয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলটি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে মুশফিকের আউট নিয়ে মনগড়া, অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য পরিবেশন করে তার দীর্ঘ ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ওপর কালিমা লেপন করা হয়েছে এবং তার সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি এমন সময়ে করা হয়েছে যখন বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট চলছে। এই প্রতিবেদনের কারণে মুশফিকুর রহিম পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তিপর্যায়ে হেয়প্রতিপন্নের শিকার হয়েছেন এবং তিনি এই বিকৃত তথ্য সংবলিত প্রতিবেদনের কারনে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সময় পার করছেন। তারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মানববন্ধনে মাটিডালি ক্রীড়াচক্রের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুল হাসান বলেন, মুশফিকুর শুধু বগুড়ার সন্তান নন তিনি এই দেশের সব মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন। তাকে নিয়ে এইরকম ভিত্তিহীন খবর প্রচার কোনো ভুলে হয়নি বরং একটি মহলের বৃহৎ চক্রান্তের অংশ এটি। তাই বিসিবির কাছে আমাদের দাবি দ্রুত এ নিয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিসিবি বরাবর স্মারক লিপি পাঠানো হয়েছে।
মাটিডালি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ লাল মিয়া বলেন, অপরাধ করে ক্ষমা চাওয়া কোনো সমাধান নয়। যারা দেশের সম্মানের জন্য খেলাধুলা করেন তাদের নিয়ে আপত্তিকর এইসব গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মন্তব্য করুন