বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাওহীদ হৃদয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে পয়েন্ট তালিকার তলানির দল দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। স্বাগতিকদের ৪ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার দাড়প্রান্তে পৌঁছে গেল লিটন কুমার দাসের দল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানের জোড়া ফিফটিতে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে ৬ উইকেট ও ১ বল হাতে রেখে ১৭৬ রান তোলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।
১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত ৮ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক লিটন দাস। পরের ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস। কুমিল্লার একাদশে ফিরেও আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হন ইমরুল কায়েস। ১ রানে সাজঘরে ফেরত যান এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে ভিক্টোরিয়ান্স।
চতুর্থ উইকেটে ইংলিশ ব্যাটার ব্রুক ডেভিড গেস্টকে সঙ্গে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা। দলীয় ১০৭ রানে গেস্ট উইকেট হারান ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। হৃদয় চার-ছক্কার ফোয়ারা অব্যাহত রাখেন। বড় লক্ষ্য তাড়ায় দলকে সার্ভিস দিতে ব্যর্থ ক্যারিবীয় তারকা রেমন রেইফারও। আরাফাত সানির শিকার হয়ে ৬ রান করতেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। বাকি পথটুকু একাই পাড়ি দেন হৃদয়। ৩২ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে তাওহীদ হৃদয় হন আরও মারমুখী। সেঞ্চুরি পেতে পরের ফিফটি করেছেন মাত্র ২১ বলে। ৫৭ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকান কুমিল্লার এই হার্ড হিটার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে হারায় ঢাকা। ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার। এরপর নাঈম শেখ আর সাইফ হাসানের দারুণ এক জুটিতে বড় এক সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা।
দ্বিতীয় উইকেটে নাইম আর সাইফ ৭৮ বলে যোগ করেন ১১৯ রান। দুজনই করেন ফিফটি। নাইম ৪৫ বলে ৬৪ করেন ৯ চার আর ১ ছক্কায়। সাইফের ৪২ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মার। অবশ্য তাদের আরো বড় সংগ্রহ হতে পারতো। তবে ১৭তম ওভারে ম্যাথু ফোর্ডের ৩ উইকেট রানের চাকায় লাগাম টানে। শেষদিকে অ্যালেক্স রসের ১১ বলে করেন অপরাজিত ২১ ও মেহরবের ৮ বলে ১১ রানে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা।
কুমিল্লার ম্যাথু ফোর্ড ৩৫ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। আলিস আল ইসলাম ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান দুই ওভারেই ৩৩ রান খরচ করলে তার কোটা আর পূর্ণ করার সাহস করেননি অধিনায়ক।
মন্তব্য করুন