বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দশম আসরটি দারুণ কাটছে টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত তিন অর্ধশতকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। বাঁহাতি এই ব্যাটারের সামনে রয়েছে আরো বড় কয়েকটি রেকর্ডের হাতছানি।
২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএলের প্রথম আসর থেকে বর্তমানের দশম আসর পর্যন্ত তামিমকে ৮টি ভিন্ন জার্সিতে দেখা গেলেও বিপিএলে তামিমের রান তোলায় কিন্তু তাতে বাধা পড়েনি। প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। যার মধ্যে একটি রয়েছে বিপিএলের ফাইনালে ম্যাচজয়ী এক সেঞ্চুরি।
তামিম বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এক মৌসুমে রান করার দিক থেকে সেরা পাঁচে রয়েছেন দুই বার। ২০১৬ সালের আসরে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তিনি খেলেন ৪৭৬ রানের ইনিংস। এরপর ২০১৯ বিপিএলে কুমিল্লার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আসরে ৪৬৭ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এবারের বিপিএলে নিজের এই রেকর্ডকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাঁহাতি ওপেনারের সামনে। সেজন্য দরকার মাত্র ৩৪ রান। ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে এখনো পর্যন্ত করেছেন ৪৪৩ রান। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আজ মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স ও বরিশাল। এই ম্যাচেই তামিমের নিজের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকছে।
তবে এই রেকর্ড ছাড়াও তামিমের সামনে সুযোগ রয়েছে বিপিএলে স্থানীয় ব্যাটারদের মধ্যে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার। সেজন্য বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারকে করতে হবে ৭৪ রান। ৫১৬ রান করে এক মৌসুমে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নাজমুল হোসেন শান্তর। ২০২৩ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে কীর্তি গড়েন শান্ত। রংপুরের বাধা টপকে বরিশাল এবার ফাইনাল খেলতে পারলে শান্তকে টপকানোর সুযোগ বেশি থাকছে তামিমের।
তবে শুধু তামিম নয় এই মৌসুমে আরেক বাংলাদেশি ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেনি তিনি। ১৩ ম্যাচে ৪৪৭ রান করে এখনো পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ১ সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ফিফটি করেছেন। যার মধ্যে গত পরশু প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরের বিপক্ষে ৬৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। ৪৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৫ চার ও ৪ ছক্কা। হৃদয়ের এমন বিধ্বংসী ইনিংসেই
রান |
ব্যাটার | দল | মৌসুম |
৫১৬ | নাজমুল হোসেন শান্ত | সিলেট স্ট্রাইকার্স | ২০২৩ |
৪৯১ | মুশফিকুর রহিম | খুলনা টাইগার্স | ২০১৯-২০ |
৪৭৬ | তামিম ইকবাল | চট্টগ্রাম ভাইকিংস | ২০১৬ |
৪৬৭ | তামিম ইকবাল | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স | ২০১৯ |
৪৫৫ | লিটন দাস | রাজশাহী রয়্যালস | ২০১৯-২০ |
৪৪৭ | তাওহীদ হৃদয় | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স | ২০২৪ |
৪৪৩ | তামিম ইকবাল | ফরচুন বরিশাল | ২০২৪ |
মন্তব্য করুন