আসরের বিবেচনায় মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জিতলে ফাইনাল, হারলে বাদ। এরকম সমীকরণ মাথায় নিয়ে আজ যেন খেলা ভুলে গিয়েছিল রংপুরের ব্যাটাররা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, কাইল মায়ার্স ও জেমস ফুলারের বোলিং তোপে রংপুর রীতিমতো ধুঁকেছে। ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে অবশ্য শেষ বেলায় স্বস্তি এনে দেয় শামীম পাটোয়ারী। তার অনবদ্য ফিনিশিংয়ে রংপুর পায় ১৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। রেকর্ড ২০ বলে ঝড়ো ফিফটি পাওয়া শামীম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথম ইনিংস একসময় ১০০ এর নিচে আটকানোর সম্ভাবনা থাকলেও ২০ ওভার শেষে বরিশালকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর। রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। আর বরিশালের পক্ষে ফুলার নেন তিন উইকেট।
দু’দলের জন্যই মহা গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে জি টসে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের জয় পেয়ে নেন বোলিং। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে কাইল মায়ের্স ৮ রান দিলেও পরের ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে অ্যাকশনে এনেই অধিনায়ক তামিমের বাজিমাত।
সাইফউদ্দিন এক ওভারেই শিকার করেন রংপুরের ওপেনার শেখ মেহেদী ও সাকিবকে।
১০ রান করতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা রংপুর রাইডার্সের বিপদ আরও বাড়ে দলীয় ১৮ রানে রনি তালুকদারের বিদায়ে। বাউন্ডারিবিহীন ১২ বলের ইনিংসে ওপেনার রনি করেন কেবল ৮। দুর্দান্ত কাইল মায়ের্স নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে পেলেন উইকেটের দেখা। ৩ উইকেট খুইয়ে রংপুর রাইডার্স পাওয়ার প্লে’তে স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে কেবল ২৬ রান।
জিমি নিশামের ব্যাটে অবশ্য পরের ওভারেই পালটা আক্রমণ চালায় রংপুর। কোটার শেষ তিন বলে এক নিশামের কাছেই হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি হজম করেন মায়ের্স।
আগের ম্যাচে ৯৭ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলা জিমি নিশাম আজও রংপুরকে করেছেন রক্ষা। তার ব্যাট থেকেই আসে সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস। এরমাঝেই বিদায় ঘটে নিকোলাস পুরানের। ১২ বল খেলা পুরান ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মোহাম্মদ নবী। কোটার শেষ ওভার করতে এসে জোড়া শিকার দখলে নেন জেমস ফুলার।
৭৭ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে একা হাতে টেনে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত নিয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ফিনিশিংয়ে শামীম দেখালেন দাপট। মাত্র ২০ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ রানের মাইলফলক। এক শামীমের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে ১৯তম ওভারে ওবেদ ম্যাককয় খরচ করে যান মোট ২৬ রান। তাকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দেন আবু হায়দার রনি। ১৭ ওভারে ১০২ রানে থাকা রংপুর ২০ ওভার শেষে পায় ১৪৯ রান।
মন্তব্য করুন