ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের প্রতিটি ম্যাচেই বড় রান সংগ্রহ একেবারে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০ ওভারের খেলায় ২০০ রান করলেই আগে যেখানে দলগুলো খুশি থাকত সেখানে আইপিএলের কারণে ২০০ রানকেই মনে হচ্ছে খুবই সামান্য। ম্যাচগুলোতে আগে ব্যাটিং করে ২৫০ রান না করলে দর্শকরাও ভরসা পাচ্ছে না। আইপিএলের এই আসরেই সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড, টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়সহ আরও রেকর্ড হয়েছে। এইসব রেকর্ডই এবারের আসরে বোলারদের বাজে অবস্থার কথা ইঙ্গিত করে।
আইপিএলে এরকম রানবন্যার কারণ হিসেবে বোলারদের দোষের চেয়ে পিচ ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারদের দোষ বিশেষজ্ঞরা দেখলেও এই দলে নেই কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিকের চোখে আইপিএলে এবার ব্যাটারদের এরকম রান উৎসবের জন্য দায় বোলারদের, বিশেষ করে স্পিনারদের সব দোষ দিচ্ছেন এই কিংবদন্তি।
এবারের আইপিএলে মুরালিধরন যুক্ত আছেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে। দলটির কোচের ভূমিকায় থাকায় সামনে থেকেই তার দলের ব্যাটারদের বোলারদের নাভিশ্বাস তোলা দেখেছেন।
মুরালিধরন আইপিএলে রান বন্যা নিয়ে বলেন, ‘ভারতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বেশির ভাগ স্পিনারই বল ঘোরানোর চেষ্টা করছে না। আমার কাছে বল ঘোরানোটাই প্রধান মাপকাঠি। কিছুটা জোরে বল করছে, কিন্তু ঘোরাচ্ছে না। বল সুইং করাতে দেখা যাচ্ছে না।’
আসলে ব্যাটাররা অনুশীলনে সোজা সব বল খেলে অভ্যস্ত। তাই বল না ঘোরালে তাদের মাথায় বল হিট করার চিন্তাটাই বেশি থাকবে বলে ধারনা মুরালিধরনের।
তিনি এ সম্পর্কে বলেন ‘আপনি যদি অনুশীলন দেখে থাকেন, তাহলে বুঝবেন ব্যাটাররা সব থ্রো ডাউন বলে হিটিংয়ের অনুশীলন করে। তাই ম্যাচেও যখন সোজা বল আসে, পেশিশক্তি ব্যবহারের চিন্তা আসে। কারণ, এর সঙ্গে ওরা (অনুশীলনেই) অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ওরা প্রতিদিন ১০০টির বেশি বলে পাওয়ার হিটিংয়ের অনুশীলন করে।'
মুরালির মতে স্পিনাররা বল ঘোরালে ব্যাটসম্যানরা ভেবে চিন্তে খেলবে। ‘কিন্তু স্পিনাররা যদি বল ঘোরাত বা সুইং করতে পারত, তাহলে ব্যাটসম্যানদের মাথায় সেটি থাকত। স্পিনারদের বল ঘোরানো শিখতে হবে। তাহলে আরও ভালো করার সুযোগ থাকবে।’
মন্তব্য করুন