বড় স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে আইসিসির বৈশ্বিক আসর খেলতে যায় বাংলাদেশ। পেছনে থাকে ১৭ কোটি মানুষের আশা-ভালোবাসা আর প্রার্থনা। কিন্তু বেশিভাগ সময় ফিরতে হয়েছে খালি হাত আর হতাশা নিয়ে।
এবারও সেই একই ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া বিশ্বকাপের গত আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলে টাইগাররা। এবারও সেই লক্ষ্য নিয়েই বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাতে ঢাকা ছেড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা বিরতি করে নাজমুল হোসেন শান্তরা। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ক্রিকেটারদের বহনকারী বিমান দুবাইয়ে যাত্রা বিরতি করে। সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
এর আগে বুধবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে শেষবারের মতো অনুশীলন করে চন্ডিকা হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। এরপর অংশ নেয় অফিসিয়াল ফটোশ্যূটে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে পুরো দলের ছবি তোলার পর শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।
বিশ্বকাপ শুরু আগে আগে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। হিউস্টনে ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে ম্যাচগুলো।
পরে আগামী ১ জুন নিউইয়র্কে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে ডালাস ও নিউইয়র্কে। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১০ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন শান্তরা। সেখানে সেন্ট ভিনসেন্টে ১৩ জুন টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। আর ১৭ জুন একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে নেপালের বিপক্ষে।
মন্তব্য করুন