সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এলো শৃঙ্খলাজনিত শাস্তি। দলের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় মোসাম্মৎ সাগরিকাকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)। একই সঙ্গে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানকেও একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, দুই ফুটবলারকে ৫০০ মার্কিন ডলার করে জরিমানাও গুনতে হবে। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জানিয়েছে, সাগরিকার এই জরিমানার অর্থ তারা বহন করবে এবং সম্ভবত টুর্নামেন্ট আয়োজক হিসেবে সাফ থেকে পাওয়া অনুদান থেকেই সে খরচ সমন্বয় করা হবে।
ঘটনার শুরু বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে। হঠাৎ করেই মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান সাগরিকা ও সিমরানকে। সাধারণত সরাসরি লাল কার্ডে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়, তবে ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট এবং ভিডিও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সাফ এই দুজনকে বাড়তি শাস্তি দেয়।
বাফুফে অবশ্য শাস্তি অবিচার মনে করলেও আপিলের পথে হাঁটেনি। কারণ, আপিল করতে হলে নতুন করে কয়েকশ ডলার জমা দিতে হতো, যা আর্থিকভাবে অপ্রয়োজনীয় বলেই মনে করছে সংস্থাটি। তাছাড়া বাফুফের কর্মকর্তারা মনে করছেন, আপিলে সাফল্যের সম্ভাবনাও সীমিত।
তবে বাফুফে হতাশ এ কারণে যে, ঘটনার সূত্রপাত নেপালের খেলোয়াড় সিমরানের কাছ থেকে এলেও, সাগরিকাকে দেওয়া শাস্তি তার সমানই হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরিকা আজ ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারছেন না। পাশাপাশি পরবর্তী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও তাকে ছাড়াই পরিকল্পনা সাজাতে হবে দলকে।
তবে আশার কথা, আগামী ২১ জুলাই নেপালের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন- যেটি অনেকটাই হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টের অলিখিত ফাইনাল।
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাগরিকার ফিরে আসা দলকে অনুপ্রাণিত করলেও তার অনুপস্থিতিতে সামনের দুটি ম্যাচে দলের ভারসাম্য বজায় রাখা কোচিং স্টাফের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
মন্তব্য করুন