ইংলিশ ফুটবলের আঁতুড়ে ঘর ওয়েম্বলিতে ইংলিশ ফুটবলের মৌসুমের ঐতিহ্যবাহী পর্দা-উত্তোলনী ম্যাচে এক দারুণ নাটকের জন্ম দিল ক্রিস্টাল প্যালেস। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলের সমতায় শেষ হওয়া কমিউনিটি শিল্ডে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ ব্যবধানে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল অলিভার গ্লাসনারের দল।
আর্নে স্লটের লিভারপুল ম্যাচের শুরুতে দারুণ ছন্দে ছিল। মাত্র চার মিনিটেই নতুন মুখ হুগো একিতিকে চমক দেখালেন। ফ্লোরিয়ান উইর্টজের পাস পেয়ে বাম দিক থেকে দারুণ ড্রিবলিংয়ে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনকে পরাস্ত করেন তিনি।
তবে প্রথমার্ধের মাঝপথে রক্ষণের অমনোযোগে সমতায় ফেরে প্যালেস। অফসাইড ফাঁদ ভেঙে জাঁ-ফিলিপ মাতেতা একা এগোলেও আলিসনকে পাশ কাটাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু পরক্ষণেই বল পেয়ে ইসমাইলা সারকে ফাউল করেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। পেনাল্টি থেকে মাতেতা সহজেই গোল করে ম্যাচে ফেরান দলকে।
এর কিছুক্ষণ পরই আবার লিড নেয় লিভারপুল। ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জেরেমি ফ্রিমপং যেন ক্রস তুলতে চাইলেও বল ভেসে গিয়ে সরাসরি জালে জড়িয়ে যায়, হেন্ডারসনের মাথার ওপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল, কিন্তু অপচয়ই কাল হলো। ম্যাচের শেষ দিকে অ্যাডাম হুয়ার্টনের পাসে দৌড়ে গিয়ে সার বল জালে জড়িয়ে দেন, সমতায় ফেরান প্যালেসকে। এরপর পাল্টা আক্রমণে প্রায় দ্বিতীয় গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন সার, কিন্তু মিলোস কেরকেজের দুর্দান্ত ট্যাকলে রক্ষা পায় লিভারপুল।
নব্বই মিনিট শেষে স্কোরলাইন ২-২ থাকায় গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানেই বিপর্যয়—মোহাম্মদ সালাহ, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও হার্ভি এলিয়ট—তিনজনই লক্ষ্যভ্রষ্ট। ফলে ৩-২ ব্যবধানে শুটআউট জয় পেয়ে কমিউনিটি শিল্ডের মুকুট তুলে নেয় ক্রিস্টাল প্যালেস।
লিভারপুলের জন্য এটি নতুন মৌসুমের শুরুতে এক সতর্কবার্তা, আর প্যালেসের জন্য—এটি আত্মবিশ্বাসী এক ঘোষণা যে তারা বড় দলগুলোকেও হারাতে সক্ষম।
মন্তব্য করুন