ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে লামিনে ইয়ামালকে ৩২১ পয়েন্টে হারিয়ে যখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের মুকুট মাথায় তুললেন উসমান দেম্বেলে, তখনই বাজলো এক চিরচেনা নোটিফিকেশন— আর সেই নোটিফিকেশন পেয়েই মন ভরে গেল দেম্বেলের কারণ সবার প্রথম বার্তাটি যে এল লিওনেল মেসির কাছ থেকে।
জয়ের পর ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে দেম্বেলে জানালেন, ‘প্রথম শুভেচ্ছা পাঠান মেসি। এরপর জাভি, লুইস সুয়ারেজসহ অনেক প্রাক্তন বার্সা সতীর্থও অভিনন্দন জানান।’
শৈশবের স্বপ্ন হলেও ব্যালন ডি’অরকে কখনো আবেশ হিসেবে নেননি দেম্বেলে। বললেন, ‘ছোটবেলায় ভেবেছিলাম। কিন্তু বড় হওয়ার পর আসলে ভাবিনি আমি এটি জিতব। লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা, তারপর যা আসে।’
বার্সায় কাটানো দিনগুলোতে একের পর এক চোটে ভুগেছেন তিনি। ২০১৯–২০ মৌসুমে খেলেছিলেন মাত্র পাঁচ ম্যাচ। সেই কষ্টই তাকে নতুন করে গড়েছে। ‘ফুটবলে নিজের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ করিনি কখনো। কেবল শরীরটা সাড়া দিচ্ছিল না। এখন বয়স ২৮, নিজের শরীরকে ভালোভাবে চিনি।’
গত মৌসুমে দেম্বেলের রূপান্তর ছিল চোখে পড়ার মতো। উইঙ্গার থেকে ‘ফ্রি ফরওয়ার্ড’ হয়ে ওঠার কৃতিত্ব তিনি দেন কোচ লুইস এনরিকেকে। ‘আমাকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন। মাঝে মাঝে ফালস নাইন হিসেবেও খেলি। জায়গা বের করার চেষ্টা করি, স্পেস খুঁজি।’
সমালোচনা আর ব্যর্থতার দিনগুলোকে পাত্তা দেন না দেম্বেলে। তার সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘ক্ষমা করবেন, কিন্তু আমি পাত্তা দিইনি! যে যেমনটা ভাবে ভেবেছে, সেটি তাদের ব্যাপার।’
তবু তার কাছে ব্যালন ডি’অর মানে কেবল ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং লড়াই–সংগ্রাম আর অধ্যবসায়ের পুরস্কার। আর সেই সোনালি পথচলার প্রথম আলোকরশ্মি এসেছিল এক পুরনো সতীর্থের কাছ থেকেই—লিওনেল মেসি।
মন্তব্য করুন