

জুনে মিয়ানমারে দুর্দান্ত ফুটবলে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। সেই দলের আত্মবিশ্বাস, ছন্দ—সবই যেন কোথায় হারিয়ে গেছে! ব্যাংককে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে ঋতুপর্ণা-স্বপ্নারা, তাও বড় ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ আরও লজ্জাজনক ৫-১ গোলের হারে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি সফর।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধানই যথেষ্ট বড়। ৫৩তম স্থানে থাকা থাইল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে ৫১ ধাপ, অবস্থান ১০৪ নম্বরে। অভিজ্ঞতাতেও দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট—থাইল্যান্ড ১৭ বার এশিয়ান কাপে খেলেছে, ১৯৮৩ সালে জিতেছে শিরোপাও। দুইবার অংশ নিয়েছে নারী বিশ্বকাপেও। অন্যদিকে, বাংলাদেশ নারী দল এবারই প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছে মহাদেশীয় আসরে।
ব্যাংককের অ্যানিভার্সারি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্বাগতিক থাইল্যান্ড। পঞ্চম মিনিটেই বিপদ সামলান গোলকিপার রুপনা চাকমা, তবে ১২ মিনিটে আর পারেননি—অধিনায়ক সাওয়ালাক পেংগামের গোলে এগিয়ে যায় থাইল্যান্ড। ২৩ মিনিটে মাঝমাঠের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে বাংলাদেশ, জিরাপর্ন মংকোলডির শটে বল চলে যায় রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে।
২৯ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সান্ত্বনার গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। কর্নার থেকে মারিয়া মান্দার নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দেন তিনি। তবে ৩৪ মিনিটেই সেই গোলের আনন্দ মিলিয়ে যায়—ম্যাডিসন ক্যাস্টিনের শটে থাইল্যান্ড পায় তৃতীয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গুছিয়ে খেললেও গোলের মুখে কার্যকর হতে পারেননি বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। বরং ৫৪ মিনিটে ক্যাস্টিনের লং শটে আসে চতুর্থ গোল এবং ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পঞ্চম গোলটি করেন মংকোলডি।
শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় কোচ পিটার বাটলারের দলকে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই বড় হার বাংলাদেশ নারী দলের এশিয়ান কাপ প্রস্তুতিতে এক কঠিন সতর্কবার্তা হয়ে থাকল।
মন্তব্য করুন