

বাংলাদেশের বিপক্ষে আগামী ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামবে নেপাল। পল্টনের ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া সেই ম্যাচের আগে যখন জামাল ভূঁইয়ারা জোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন নিজেদের দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন নেপালের ফুটবলাররা। মাঠের প্রস্তুতির বদলে তারা এখন রাস্তায়, প্রতিবাদে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুর অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা) কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন দেশটির পেশাদার ফুটবলাররা। তাদের প্রধান দাবি—স্থগিত থাকা ‘এ’ ডিভিশন লিগ দ্রুত চালু করতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সকালে খেলোয়াড়েরা আনফা কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হলেও নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নেপাল ফুটবল প্লেয়ার্স ইউনিয়নের মাধ্যমে ফেডারেশনের কাছে দাবিপত্র জমা দিতে চাইলেও সেটি গৃহীত হয়নি।
বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন নেপাল জাতীয় দলের পরিচিত মুখরাও। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে দেশটিতে শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা না থাকায় অনেক ফুটবলার পেশাগত অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। অনেকে নিয়মিত আয় হারিয়ে পড়েছেন চরম আর্থিক চাপে।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে ফেডারেশন কর্মকর্তারা ও ১৪টি ক্লাবের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—চলতি বছর ‘এ’ ডিভিশন লিগ আয়োজন করা হবে না, তা স্থগিত থাকবে আগামী বছর পর্যন্ত। এই ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে।
বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে ফুটবলাররা আনফা কমপ্লেক্সে ঢুকতে না পেরে ভবনের সামনে নিজেদের অর্জিত মেডেল ও ট্রফির ছবি ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানান। তাদের বক্তব্য, দেশের ফুটবলের মান ধরে রাখতে এবং খেলোয়াড়দের জীবিকা টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত লিগ আয়োজনের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই বিক্ষোভ নেপাল দলের প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলবে কি না, সেটিই এখন প্রশ্ন।
মন্তব্য করুন