

নেপাল ম্যাচে যেন হামজা চৌধুরী একাই খেললেন। রক্ষণভাগ সামলানো থেকে আক্রমণভাগে বলের জোগান দেওয়া, সব জায়গায় তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হামজা ঝড়েই লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও পুরোনো রোগে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের। ম্যাচের ৮০ মিনিটে পায়ে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়েন হামজা। আর তাতে কিছুটা শঙ্কায় পড়েন সমর্থকরা। অনেকের মনেই প্রশ্ন, ভারত ম্যাচ খেলতে পারবেন তো হামজা।
দেশের ফুটবলের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা হামজা। তার আগমন বদলে দিয়েছে দেশের ফুটবলের চিত্র। ম্যাচ শেষে হামজার চোট নিয়ে কথা বলেছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সমর্থকদের স্বস্তির খবর দিয়ে জানিয়েছেন, হামজার চোট খুব বেশি গুরুতর নয়। ভারত ম্যাচে হামজাকে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
কাবরেরা বলেন, ‘না, বড় কোনো সমস্যা নেই। মাংসপেশিতে কিছুটা চোট লেগেছে। এমন কিছু হয়নি, যাতে করে তারা (হামজা ও জায়ান) ভারত ম্যাচের জন্য ঝুঁকিতে আছে।’
ভারত ম্যাচের আগে নেপাল ম্যাচ ছিল এক প্রকার প্রস্তুতি ম্যাচই। সেই প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ খুব ভালো করেছে তা অবশ্য বলা যাবে না। শেষ মুহূর্তে যেভাবে গোল হজম করেছে তা উদ্বেগের কারণই বটে। কোচ ক্যাবরেরা আশা করেন, ভারত ম্যাচের আগে ভুলগুলো নিয়ে কাজ করবে তার দল।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো করেই জানি এই উইন্ডোর মূল লক্ষ্য ভারতের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করা। আমরা ভিডিও (নেপাল ম্যাচের) দেখে ভুলগুলো ঠিক করার চেষ্টা করব। আমাদের কাছে এখন চার দিন সময় আছে, যাতে এগুলো মূল ম্যাচে (ভারত) না ঘটে। আমাদের উচিত ছিল নেপালের চেয়ে ভালো পারফর্ম করা এবং জেতা। বাস্তবতা হলো, আমরা হেরেছি। কিন্তু নেতিবাচক মনোভাব রাখার প্রয়োজন নেই। আমাদের লক্ষ্য ভারত ম্যাচে জেতা।’
মন্তব্য করুন