

লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে শক্ত প্রতিপক্ষ সেনেগালকে ২–০ গোলে পরাজিত করেছে ব্রাজিল। কার্লো আনচেলত্তির অধীনে এটি ছিল অন্যতম কঠিন পরীক্ষা, আর সেই পরীক্ষায় প্রথমার্ধের দুই গোলেই স্বস্তিদায়ক জয় নিশ্চিত করে সেলেসাওরা।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে এস্তেভাওর দারুণ ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। মাঝমাঠে ব্রুনো গিমারাইশের পাস প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে সামনে পড়ে, আর সেটি এক টাচে জালে পাঠান কিশোর প্রতিভা এস্তেভাও। আনচেলত্তি যুগে এ নিয়ে তার চতুর্থ গোল।
৮ মিনিট পরই আসে দ্বিতীয় গোল। রদ্রিগোর নেওয়া ফ্রি–কিক থেকে বক্সের ভেতর দারুণ নিয়ন্ত্রণে বল নামিয়ে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক ক্যাসেমিরো। যদিও ভিএআরের কারণে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়, শেষ পর্যন্ত গোল নিশ্চিত হয়।
এই ম্যাচে শুরু থেকেই ব্রাজিল ছিল আক্রমণাত্মক। ৩ মিনিটেই মাতেউস কুনহার শট পোস্টে লাগে, ৮ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দারুণ প্রচেষ্টা রুখে দেন মেন্ডি।
সেনেগালও কিছু মুহূর্তে চাপ তৈরি করে — বিশেষ করে প্রথমার্ধের শেষ দিকে টানা তিনটি আক্রমণে ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা অসাধারণ ব্লক করে গোল নিশ্চিতভাবে বাঁচান। বিরতির ঠিক আগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কুলিবালির মাঝে উত্তেজনাকর ধাক্কাধাক্কি তৈরি হলেও রেফারি কার্ড দেখাননি।
বিরতির পর সেনেগাল বল দখলে এগিয়ে যায়, কিন্তু গোলমুখে কার্যকর কিছু করতে পারেনি। বরং ব্রাজিল একের পর এক দ্রুত পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি করে।
৫৮ হাজার ৬৫৭ দর্শকে ভরা এমিরেটসে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, ব্রুনো গিমারাইশ—সবাই মিলে কয়েকটি আক্রমণে গোলের দেখা পেতে পারতেন।
সেনেগালের সেরা সুযোগ আসে ৫১ মিনিটে—এডারসনের ভুলে এনদিয়ায়ে বল পেয়ে পোস্টে লাগান। এরপর ম্যানেও নিকট দূরত্ব থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি।
দুই দলই দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন আনে। ম্যাচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনেগাল ফাউলের পথে যায়, আর গানা গুইয়ে, পাপে গুইয়ে ও মেন্দি—সকলেই হলুদ কার্ড দেখেন।
শেষ দিকে ব্রুনো গিমারাইশের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আরেকটি সুযোগ তৈরি হলেও শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অতিরিক্ত ৩ মিনিট যোগ করেও ম্যাচে আর গোল হয়নি।
এই জয়ের ফলে সেনেগালের বিপক্ষে প্রথমবার মাঠের লড়াইয়ে ব্রাজিল পেল জয়। আগামী মঙ্গলবার তাদের বছরের শেষ ম্যাচ—ফ্রান্সের লিলেতে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে।
মন্তব্য করুন