আগামী বছর নিজেদের দেশে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসায় এবার বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছে না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে সফল দল জার্মানির। গত দুই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাদ পড়া জায়ান্টদের জন্য ঘরের মাঠের ইউরো এবার কঠিন এক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই ধরা দেবে। চারবারের বিশ্বকাপজয়ীদের সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোচকে ছাঁটাই করেছে জার্মানি। তবে আপাতত স্বস্তির খবর হচ্ছে নতুন কোচ জুলিয়ান নাগালসম্যানের অধীনে জয়ের দেখা পেয়েছে সানে-মুলাররা।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের মাঠেই ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মানি। জার্মানির পক্ষে গোল করেন ইলকায় গুন্দোয়ান, নিকলাস ফুলক্রুগ ও জামাল মুসিয়ালা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গোল করেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ।
যুক্তরাষ্ট্রের রেন্টশ্চেলার স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামে বলের দখল থেকে শুরু করে গোলে শট নেওয়া সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে ছিল জার্মানি। তবুও প্রথম গোল তারাই খায়। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নড়বড়ে রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৭ মিনিটের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ। ফ্লোরিয়ান বালোগানের পাস থেকে গোল করেন তিনি। বাজে ফর্মে থাকা জার্মানদের নতুন কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচেই হারের শঙ্কা জাগছিল।
সমতায় ফিরতে এরপর বেশি সময় নেয়নি জার্মানি। ৩৯তম মিনিটে সানেকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন টার্নার। নিজে শট না নিয়ে সানে বল বাড়ান গুনদোয়ানকে, কোনাকুনি শটে বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার লক্ষ্যভেদ করেন। সমতায় নিয়ে দু’দল ম্যাচের বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানির সামনে টিকতেই পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় তারা। ৫৮তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু বল ধরে দলকে এগিয়ে নেন ফুলক্রুর্গ। ৬১তম মিনিটে বাঁ-পায়ের শটে ব্যবধান আরও বাড়ান মুসিয়ালা। এরপর আর কোনো দলই জালের দেখা পায়নি।
নিজেদের মাঠে সর্বশেষ দেখায়ও জার্মানির কাছে হেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৩ সালে ওয়াশিংটনে সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছিল জার্মানরা। এবারও সেই হারের-ই পুনরাবৃত্তি হলো। এর আগে ২০১৫ সালে প্রীতি ম্যাচে দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার কোলন থেকে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন