কাতার অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক ছিল মরক্কো। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের অবাক করে আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলেছিল আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েশরা। বিশ্ব আসরে তাদের চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্যের কারণে চলমান আফ্রিকান কাপ অব নেশনস অন্যতম ফেবারিট ধরা হয়েছিল তাদের। কিন্তু শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দলের বড় তারকা আশরাফ হাকিমির পেনাল্টি মিসে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে মরক্কো।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আফ্রিকান নেসনস কাপের নকআউট পর্বের খেলায় মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পেনাল্টিতে থেকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মরক্কোর আশরাফ হাকিমি।
কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলেছে মরক্কো। এর মধ্যে মাত্র দুটি খেলায় হেরেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা। সেই দুটি ম্যাচই হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অঘটনের রাতে মরক্কোর জালে বল জড়ান দক্ষিণ আফ্রিকার এভিডেন্স মাকগোপা ও তেবোহো মোকোয়েনা।
আফকন থেকে মরক্কোর বিদায়ের রাতটি সবচেয়ে বিভীষিকাময় ছিল পিএসজি ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির জন্য। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় মরক্কো। কিন্তু স্পটকিক থেকে গোল করার সুযোগ হারান এই ডিফেন্ডার। অথচ লক্ষ্যভেদ করতে পারলেই সমতায় ফিরতে পারত মরক্কো। বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলা দলটির দুঃখ আর বাড়িয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা সোফিয়ান আমারবাতের লাল কার্ড।
আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট সেনেগাল ও মিসর। এবার বিদায় নিল মরক্কো। প্রতিযোগিতা থেকে আরও বিদায় ঘন্টা বেজেছে আন্দ্রে ওনানার ক্যামেরুনও।
মন্তব্য করুন