কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আগ্নেয়গিরি থেকে হচ্ছে সোনার বৃষ্টি

মাউন্ট এরিবাসের আগ্নেয়গিরি। ছবি : সংগৃহীত
মাউন্ট এরিবাসের আগ্নেয়গিরি। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন নিয়ম করে হচ্ছে সোনার বৃষ্টি। শুনতে অবাক মনে হলেও পৃথিবীর এক প্রান্তে ঘটে চলেছে এমন চমক জাগানিয়া ঘটনা। বরফে মোড়া একটি আগ্নেয়গিরি থেকে এভাবেই চারদিকে ছিটকে পড়ে সোনা। প্রতিদিন ৮০ গ্রাম সোনা উগড়ে দেয় ওই আগ্নেয়গিরি, যার দাম ৭ লাখ টাকা। সোনা উগড়ে দেওয়া ওই আগ্নেয়গিরির নাম মাউন্ট এরিবাস। সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত অ্যান্টার্কটিকায় মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। এর চেয়ে দক্ষিণে আর কোনো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নেই। জানা গেছে, এই এরিবাস আগ্নেয়গিরি থেকেই গ্যাস, পাথর, বাষ্পের সঙ্গে ছিটকে পড়ছে কেলাসিত সোনা। এরিবাসের প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে সেই লাভা। তা পরীক্ষা করেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।

আগ্নেয়গিরি থেকে সোনা ছিটকে পড়লেও কাছে যেতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। দূর থেকেই পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে তাদের। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এরিবাস আগ্নেয়গিরি যেখানে রয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা যে কোনো সময়ে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। তাই সেখানে যাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়। মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

রস সাগরের মধ্যে রস দ্বীপে এই মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। ১৮৪১ সালে ক্যাপ্টেন স্যার জেমস ক্লার্ক রস এ দ্বীপ আবিষ্কার করেন। তার নামেই এটি রস দ্বীপ নামেও পরিচিত। অ্যান্টার্কটিকায় প্রায় ১৩৮টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯টি সক্রিয়। তার মধ্যে উচ্চতম হলো মাউন্ট এরিবাস। এর উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ৭৯৪ মিটার বা ১২ হাজার ৪৪৮ ফুট।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ জানিয়েছে, পাতলা ভূত্বকের ওপর রয়েছে মাউন্ট এরিবাস আগ্নেয়গিরি। ফলে গলিত পাথর, ভস্ম আরও সহজে বেরিয়ে আসছে। সেই সঙ্গেই বেরিয়ে আসছে সোনাও। মাউন্ট এরিবাসের গহ্বরে রয়েছে একাধিক লাভার হ্রদ। তার মধ্যে একটি সক্রিয় রয়েছে ১৯৭২ সাল থেকে। তার ফলে মাঝেমধ্যে এরিবাস থেকে বেরিয়ে আসছে লাভা।

এই মাউন্ট এরিবাসের ওপর একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল। ঘটনাটি ছিল ১৯৭৯ সালের ২৮ নভেম্বর। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বিমানের ২৫৭ আরোহীর সবাই। এয়ার নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে অকল্যান্ডে ফেরত আসার কথা ছিল। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। তবে কয়েকজন যাত্রীর ক্যামেরা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেখানেই ছিল আগ্নেয়গিরির অসংখ্য ছবি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ছদ্মবেশে ধানমন্ডি ৩২ যাওয়ার পরিকল্পনা আ.লীগ নেতাকর্মীদের, সতর্ক পুলিশ   

ইতালিতে বনভোজনে গিয়ে লেকে ডুবে বাংলাদেশি শিশুর মৃত্যু

কাঁচা বা আধাসেদ্ধ ডিম উপকারী নাকি ক্ষতিকর, জানুন চিকিৎসকের মতামত

খালেদা জিয়াকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি মির্জা আব্বাসের

দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলে নিহত

বাংলাদেশে বিপ্লবের এক বছর পর হতাশায় পরিণত হলো আশা

সরাসরি ফোন করে নোবেল পুরস্কার চেয়ে বসলেন ট্রাম্প

চিকিৎসা নিতে লন্ডন গেলেন খন্দকার মোশাররফ

হলে অসুস্থ ঢাবি ছাত্রীর হাসপাতালে মৃত্যু

খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে সোনারগাঁ বিএনপির দোয়া মাহফিল

১০

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে ড. ইউনূস ইতিহাসে কলঙ্কিত হবেন : ফারুক

১১

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্ভব, আশা ধর্ম উপদেষ্টার

১২

চোর সন্দেহে যুবককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিটুনি

১৩

কারখানার শব্দদূষণ থেকে বাঁচতে মহাসড়ক বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী

১৪

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ব্যর্থ হলে ভারতের ওপর আরও শুল্ক চাপাবে যুক্তরাষ্ট্র

১৫

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ

১৬

হরিণের মাংসসহ আটক ৮

১৭

যে বিলাসবহুল নেশায় বছরে ৬০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেন হলান্ড

১৮

পাটুরিয়ায় ভাঙন, ৪ নম্বর ফেরিঘাটও ঝুঁকিতে

১৯

দুই কারণে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

২০
X