ফরিদপুর বোয়ালমারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চোর সন্দেহে যুবককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিটুনি

ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা আকিজ জুটমিল এলাকায় এক চোরকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ঝুলিয়ে পিটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়।

জানা যায়, ডোবরা গ্রামের সালাম সিকদারের ছেলে আহাদ সিকদার (৩০) এলাকার চিহ্নিত চোর ও মাদক সেবনকারী। গত শনিবার মিল গেটের মাহাবুবের মুদি দোকানে চুরি হয়। একজনের পাট চুরি হয়। একই সঙ্গে মিলের তার চুরি হয়। এসব চুরির অভিযোগে ডোবরা গ্রামের কালাম শেখ ও রবিউল শেখের সঙ্গে আরও লোকজন মিলে মঙ্গলবার রাতে আহাদকে ধরে একটি দোকান ঘরে নিয়ে আড়ার সঙ্গে পা ঝুলিয়ে অমানবিকভাব পেটায়। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আহাদকে বোয়ালমারী থানায় সোপর্দ করে রবিউল শেখ। পরে আহাদের অভিভাবকদের অনুরোধে ভালো হওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়ে আহাদ বোয়ালমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য কালাম শেখ বলেন, আহাদ একজন চিহ্নিত চোর এবং মাদক সেবনকারী। বিভিন্ন এলাকায় সে চুরি করে। চিতারবাজারে একবার মোবাইলের দোকানে চুরি করে ধরা পড়ে। চিতারবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাকিল মোল্যা বেদম মারধর করে তাকে। তারপরও সে চুরি ছাড়েনি। এক সপ্তাহে এলাকার তিন জায়গায় চুরি করেছে। তারপর এলাকার লোকজন ধরে পিটুনি দেয়। আমরা উদ্ধার করে আহাদকে পুলিশে দেই।

উপজেলা যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, আহাদ একজন বড় ধরনের চোর। মিলের করা তিনটি মামলার আসামি সে। চুরির কারণেই তাকে এলাকার লোকজন ধরে এনে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে করে থানায় দিয়ে আসি। আমি উদ্ধার না করলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। পরে আহাদের অভিভাবকদের অনুরোধে ভালো হওয়ার শর্তে থানা থেকে সে ছাড়া পায়।

আহাদ সিকদার অবশ্য চুরি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সে একজন ইজিবাইক চালক। কালাম আর রবিউলের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে আড়ার সঙ্গে দুই পা বেঁধে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিটিয়ে চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করে।

তিনি আরও বলেন, লোহার রড, কাঠ, হাতুড়ি দিয়ে আমাকে পেটানো হয়। কালামদের কথা না শোনায় তারা আমাকে ধরে নিয়ে অমানবিকভাবে পিটায়। পরে থানায় নিয়ে যায়। আমার অভিভাবক এবং এলাকার বড় ভাই সুমন খন্দকারের চেষ্টায় থানা থেকে ছাড়া পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসি। আমার দুটি মোবাইল এবং মানিব্যাগ রায় গেছে ওদের কাছে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এলাকাবাসী কোনো মামলা না করায় আহাদকে আদালতে চালান করা হয়েছিল। আদালত থেকে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। তাকে মারধর করার বিষয়টি আমাদের কেউ বলেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাতা না ঠোঁট কোনটি আগে দেখলেন, উত্তর মিলিয়ে জেনে নিন আপনার ব্যক্তিত্ব

কেন আমোরিমকে এখনও বরখাস্ত করছে না ম্যানইউ?

ফিলিপাইনে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার

৪৫ নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদানের খবরের প্রতিবাদ জামায়াতের

গাজার ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করল ত্রাণবাহী নৌবহর

চীন বিষয়ক সংবাদের জন্য গোল্ডেন সিল্ক রোড অ্যাওয়ার্ডস

দুই ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

নিবন্ধন পেল এনপিবি নিউজ

ট্রফি নিয়ে টানাপোড়েন: এসিসি বৈঠকে মুখোমুখি বিসিসিআই-নকভি

১০

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে ৬৫ পদে নিয়োগ, আবেদন যেভাবে

১১

বিএনপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে : ব্যারিস্টার অসীম

১২

বাঁশ বাগানে কান্নার শব্দ, খুঁজতে ‍গিয়ে যা দেখা গেল

১৩

শহীদ তাজউদ্দীন স্মৃতি পার্ক ইয়ুথ ক্লাবকে হস্তান্তর, ডিএনসিসিকে আইনি নোটিশ

১৪

বরিশালে একদিনে ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু

১৫

প্রতারক থেকে সাবধান থাকার অনুরোধ ফায়ার সার্ভিসের

১৬

‘ইয়াং লাইফ’ বিউটি পার্লারের মালিক শান্তার মরদেহ উদ্ধার

১৭

লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ৫০০ প্ল্যান্ট স্থাপন করবে পিকেএসএফ

১৮

মারধরের মামলায় এএসপি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে সমন জারি 

১৯

টানা পাঁচদিন পর রাজশাহীতে দূরপাল্লার বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার

২০
X