শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩১ কার্তিক ১৪৩২
ফরিদপুর বোয়ালমারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চোর সন্দেহে যুবককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিটুনি

ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা আকিজ জুটমিল এলাকায় এক চোরকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ঝুলিয়ে পিটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়।

জানা যায়, ডোবরা গ্রামের সালাম সিকদারের ছেলে আহাদ সিকদার (৩০) এলাকার চিহ্নিত চোর ও মাদক সেবনকারী। গত শনিবার মিল গেটের মাহাবুবের মুদি দোকানে চুরি হয়। একজনের পাট চুরি হয়। একই সঙ্গে মিলের তার চুরি হয়। এসব চুরির অভিযোগে ডোবরা গ্রামের কালাম শেখ ও রবিউল শেখের সঙ্গে আরও লোকজন মিলে মঙ্গলবার রাতে আহাদকে ধরে একটি দোকান ঘরে নিয়ে আড়ার সঙ্গে পা ঝুলিয়ে অমানবিকভাব পেটায়। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আহাদকে বোয়ালমারী থানায় সোপর্দ করে রবিউল শেখ। পরে আহাদের অভিভাবকদের অনুরোধে ভালো হওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়ে আহাদ বোয়ালমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য কালাম শেখ বলেন, আহাদ একজন চিহ্নিত চোর এবং মাদক সেবনকারী। বিভিন্ন এলাকায় সে চুরি করে। চিতারবাজারে একবার মোবাইলের দোকানে চুরি করে ধরা পড়ে। চিতারবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাকিল মোল্যা বেদম মারধর করে তাকে। তারপরও সে চুরি ছাড়েনি। এক সপ্তাহে এলাকার তিন জায়গায় চুরি করেছে। তারপর এলাকার লোকজন ধরে পিটুনি দেয়। আমরা উদ্ধার করে আহাদকে পুলিশে দেই।

উপজেলা যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, আহাদ একজন বড় ধরনের চোর। মিলের করা তিনটি মামলার আসামি সে। চুরির কারণেই তাকে এলাকার লোকজন ধরে এনে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে করে থানায় দিয়ে আসি। আমি উদ্ধার না করলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। পরে আহাদের অভিভাবকদের অনুরোধে ভালো হওয়ার শর্তে থানা থেকে সে ছাড়া পায়।

আহাদ সিকদার অবশ্য চুরি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সে একজন ইজিবাইক চালক। কালাম আর রবিউলের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে আড়ার সঙ্গে দুই পা বেঁধে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিটিয়ে চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করে।

তিনি আরও বলেন, লোহার রড, কাঠ, হাতুড়ি দিয়ে আমাকে পেটানো হয়। কালামদের কথা না শোনায় তারা আমাকে ধরে নিয়ে অমানবিকভাবে পিটায়। পরে থানায় নিয়ে যায়। আমার অভিভাবক এবং এলাকার বড় ভাই সুমন খন্দকারের চেষ্টায় থানা থেকে ছাড়া পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসি। আমার দুটি মোবাইল এবং মানিব্যাগ রায় গেছে ওদের কাছে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এলাকাবাসী কোনো মামলা না করায় আহাদকে আদালতে চালান করা হয়েছিল। আদালত থেকে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। তাকে মারধর করার বিষয়টি আমাদের কেউ বলেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যশোর-৫ / মিন্টুকে বরণ করে নিলেন মতুয়া সম্প্রদায় হাজারো নারী-পুরুষ

‘জামায়াতের বিরুদ্ধে বেহেস্তের টিকিট বিক্রির অপবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : সাকি

পাওনা টাকা চাওয়ায় মোবাইল ব্যবসায়ীকে খুন, গ্রেপ্তার ১

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবরুদ্ধ

শোডাউনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জামায়াত কর্মীর মৃত্যু

৮৩ ইনিংস পর বাবরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

আইওজেএইচের পুরস্কার প্রত্যাহার করল ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম

আঙ্গোলায় অদ্ভুত প্রীতি ম্যাচে গোল–অ্যাসিস্টে আলো ছড়ালেন মেসি

মোহাম্মদপুরে গোপন ককটেল কারখানার সন্ধান, যা পাওয়া গেল

১০

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি মহাসচিব

১১

পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ীর মরদেহ ২৬ টুকরা : এবার প্রেমিকা শামীমা গ্রেপ্তার

১২

বিএনপির এক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৩

ব্যবসায়ীর মরদেহ ২৬ টুকরা করার কারণ জানা গেল

১৪

ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন : মোশারফ হোসেন

১৫

বিরোধ মিটালেন সালাউদ্দিন আহমদ, বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন জানালেন দোলা

১৬

রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু

১৭

ডিসেম্বরে তপশিল না হলে ফেব্রুয়ারির প্রথমে নির্বাচন সম্ভব নয় : দুলু

১৮

ইন্দোনেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সিভাসুর সমঝোতা

১৯

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে যেসব মন্ত্রণালয়ে পদায়ন

২০
X