অ্যান্টার্কটিকায় ১৯৫৯ সালে এক দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হন ডেনিস ‘টিঙ্ক’ বেল নামের এক ব্রিটিশ অভিযাত্রী। অবশেষে ৬৫ বছর পর হিমবাহ গলে বেরিয়ে এলো তার দেহাবশেষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এ বছর জানুয়ারিতে অ্যান্টার্কটিকায় পোলিশ একটি অভিযাত্রী দল একটি হাতঘড়ি, রেডিও ও পাইপসহ কিছু জিনিসপত্রের সঙ্গে একজনের দেহাবশেষ খুঁজে পায়। এরপর ডিএনএ পরীক্ষা ও রেকর্ড যাচাই করে জানা যায়, এটি ৬৫ বছর আগে নিখোঁজ টিঙ্কের দেহাবশেষ।
ডেনিস ওরফে টিঙ্ক ছিলেন ২৫ বছর বয়সে ফকল্যান্ড আইল্যান্ডস ডিপেন্ডেন্সিস সার্ভের হয়ে কাজ করার সময় এক জরিপ অভিযানে বেরিয়ে তুষারের নিচে থাকা গভীর ফাটলে পড়ে যান। বহু চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দেহাবশেষের সন্ধান পেয়ে ডেনিসের ভাই ডেভিড বেল বিবিসিকে বলেন, আমি ভেবেছিলাম আর কখনো তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ যেন অসম্ভব বিষয়! আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে।
ডেভিড আরও বলেন, আমার খারাপ লাগছে যে বাবা-মা এই দিনটি দেখতে পারলেন না। আমি ও আমার বোন ভ্যালেরি শিগগিরই ইংল্যান্ডে গিয়ে ভাইয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করব। ৬৫ বছর পর সে বাড়ি ফিরেছে, এটি সত্যিই এক ধরনের শান্তির বিষয়।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের পরিচালক প্রফেসর ডেম জেন ফ্রান্সিস বলেন, ডেনিস ছিলেন খুবই সাহসী। কঠোর পরিস্থিতিতে অ্যান্টার্কটিকার প্রাথমিক বিজ্ঞান ও অনুসন্ধানে অবদান রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
পোলিশ গবেষকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমবাহ গলে গিয়ে দেহাবশেষ পৃষ্ঠে উঠে এসেছে। জিপিএস দিয়ে স্থান নির্ধারণ করে এবং চার দফায় বিপজ্জনক এলাকা থেকে হাড় ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করেন তারা।
মন্তব্য করুন