কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সোনার দামও ছাড়িয়ে গেল যে পাখির পালক

হুইয়া পাখির পালক। ছবি : সংগৃহীত
হুইয়া পাখির পালক। ছবি : সংগৃহীত

প্রকৃতিতে বাসস্থানের বিস্তৃতিতে বাড়ছে নানা প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি। প্রাণীদের এ আবাসস্থল অবক্ষয়ের প্রধান কারণ কৃষি, শহুরে বিস্তৃতি, খনি ইত্যাদি। পরোক্ষভাবে অন্যতম কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো। এছাড়াও, কীটনাশকের ক্রমবর্ধমান বিষাক্ততা একটি প্রজাতিকে খুব দ্রুত মেরে ফেলে। যে কোনো মহামারি একটি প্রজাতি বিলুপ্ত করে দিতে পারে। এ ছাড়াও কোনো প্রাণী বিলুপ্তির পেছনে অতিরিক্ত শিকারেরও প্রভাব রয়েছে।

এমনই বিলুপ্ত হওয়া নিউজিল্যান্ডের ওয়াটেলবার্ড প্রজাতির একটি পাখির নাম হুইয়া। এ পাখি বিলুপ্তির ইতিহাস দীর্ঘ। সর্বশেষ দেখা যায় ১৯০৭ সালে। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯২০–এর দশক পর্যন্ত এ পাখি জীবিত ছিল।

সুদর্শন আর চমৎকার গানের গলা ছিল হুইয়ার। যা মুগ্ধ করত পথচারীদের। দেখতে গায়ের রং ছিল কালো। তবে লম্বা লেজের শেষ অংশ ছিল সাদা ছোপ। যা আকৃষ্ট করত সবাইকে।

ধর্মীয় বিশ্বাসেও এ পাখির ছিল কদর। বিশেষ করে মাওরিদের কাছে হুইয়া ছিল পবিত্র পাখি। গোত্রপ্রধান এবং মর্যাদাশালী ব্যক্তিরাই কেবল এ পাখির পালক পরিধান করতে পারতেন। মূলত ইউরোপীয়দের আগ্রাসী মনোভাবে পাখিটির বিলুপ্তি ঘটে। কারণ নিউজিল্যান্ডে ইউরোপীয়রা আসার পর হুইয়া পাখি শিকার বেড়ে যায়।

এ হুইয়া পাখির একটি পলক নিউজিল্যান্ডে বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ৩৬৫ মার্কিন ডলারে (৪৬ হাজার ৫২১ নিউজিল্যান্ড ডলার)। যা প্রমাণ করে বিলুপ্ত হওয়া এ পাখির পালকটি কতটা বিরল ও মূল্যবান। এছাড়াও নিলামে এখন পর্যন্ত যত পাখির পালক বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে দামি পালক এটি।

উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে বিক্রি (নিলামে) হওয়া এ পাখির পালকটির ওজন ছিল ৯ গ্রাম। ফলে দেখা যাচ্ছে যে, এটি সোনার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। গোল্ড ব্রোকার থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, প্রতি গ্রাম সোনার দাম এখন ১২৭ মার্কিন ডলার। সেখানে প্রতি গ্রাম হুইয়া পাখির পালকের দাম পড়েছে ৫ হাজার ১৬৯ মার্কিন ডলার। যদিও হুইয়া পাখির পালকটি কোথায় পাওয়া গেছে তা জানা যায়নি।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিধ্বনিতে অনুরণিত হলো ডিবিএল-ব্রাইট সিরামিকসের পথচলা

ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনায় যা বললেন ডিসি মাসুদ 

শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি : আবিদুল ইসলাম

২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়

সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

স্বেচ্ছাশ্রমে বিএনপির সড়ক সংস্কার, ১৫ গ্রামের মানুষের মুখে হাসি

অস্থিরতার মধ্যে বাস করছেন, জানালেন মির্জা ফখরুল

সদরঘাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে ককটেল উদ্ধার, আটক ৩ 

মুশফিকের শততম টেস্ট নিয়ে বিসিবির বিশেষ আয়োজন

আজান চলাকালে ইমামের কাঁধে লাফিয়ে উঠল বিড়াল, অতঃপর...

১০

ধানক্ষেতে গিয়ে গণসংযোগ করছেন বিএনপির প্রার্থী

১১

স্কুলছাত্রকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি, এনসিপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

১২

শিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল প্রজন্মই জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে : ব্যারিস্টার মীর হেলাল

১৩

বিসিবির কমিটিতে বড় পরিবর্তন

১৪

হারুনের মনোনয়ন বাতিল চায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

১৫

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না : মনিরুল হক চৌধুরী

১৬

‘আমজনগণ পার্টি’ নিয়ে আপত্তি, সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি

১৭

আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম, বুধবার থেকে কার্যকর

১৮

সাতক্ষীরা জামায়াতের নয়, ধানের শীষের ঘাঁটি : আব্দুর রউফ

১৯

ভারতের বিপক্ষে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

২০
X