কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘুষ নিতে কিস্তি ব্যবস্থা চালু সরকারি কর্মকর্তাদের!

ঘুষ নিতে কিস্তি ব্যবস্থা চালু সরকারি কর্মকর্তাদের!
ঘুষ নিতে কিস্তি ব্যবস্থা চালু সরকারি কর্মকর্তাদের! প্রতীকী ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতির বাজারে ইএমআই বা কিস্তির ব্যবস্থা যেন অনেকটাই স্বস্তির নাম। প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসকে হাতের নাগালে এনে দিয়েছে এ পদ্ধতি। তবে এবার সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ঘুষের টাকা নিতে কিস্তি ব্যবস্থা চালু করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘুষ নিতে কিছুটা দয়াপরবশ হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তারা এ ব্যবস্থা চালু করেছেন। আর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব নাগরিক পিছিয়ে রয়েছেন তাদের যাতে ঘুষ দিতে অসুবিধা না হয় সে জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। টাকার বোঝা হালকা করতে মাসে মাসে টাকা পরিশোধের জন্য কিছু সরকারি কর্মকর্তা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, এসজিএসটি বিলিং দুর্নীতিতে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২১ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে।

একসঙ্গে এত টাকা দিতে না পারায় প্রতি কিস্তিতে ২ লাখ টাকা করে পরিশোধের অফার দেওয়া হয় তাকে। ৯ মাস ধরে তাকে কিস্তিতে এভাবে পরিশোধ করতে বলা হয় ঘুষের টাকা।

কেবল এটিই নয়, রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। সাইবার ক্রাইম শাখার এক পুলিশ কর্মকর্তা কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। এ টাকা চার কিস্তিতে পরিশোধের অফার করেছিলেন তিনি।

সুরাটে এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেও কিস্তিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে এক কৃষকের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। জমিসংক্রান্ত এক মামলায় আর্থিক সংগতি না থাকায় মাসে ৩৫ হাজার টাকা করে কিস্তিতে ওই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয় তাকে।

সবরকাঁথা জেলাতেও কিস্তিতে ঘুষের অভিযোগ ওঠে। বলা হয়েছে, স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে চার লাখ টাকা ঘুষ চেয়ে পালিয়ে যান দুই পুলিশ সদস্য। মূলত এক ব্যক্তির থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন তারা। এর মধ্যে ৪ লাখ টাকা ছিল এর প্রথম কিস্তি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা দু-একটা নয়, অন্তত ১০টি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গুজরাটের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (এসিবি) এর সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, মূল্যবান জিনিসি কিনতে ইএমআইয়ের প্রচলন রয়েছে। তবে সরকারি সংস্থাগুলোতেও এসব পদ্ধতি অনেক অসাধু কর্মকর্তারা অবলম্বন করছেন। ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার বিষয়ে সামান্য জানতে পেরেছি। ঘুষের টাকা ডাউন পেমেন্টে করার পর তারা আমাদের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’

বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর

এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা / নিহত ৪ জনের দুজন ছিলেন মসজিদের ইমাম

রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে গেল দৃশ্যপট

যমুনার সামনে রাতভর যা যা হলো

কয়টি রাফায়েল আছে ভারতের, একেকটির দাম কত?

ফের গোলাগুলি শুরু, উত্তেজনা তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নাক গলাতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র

দুপুরের মধ্যেই আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ড. মাসুদের

সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে

১০

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিশুরা

১১

আগুনে ঘি ঢালা নয়, শান্তি চাই : এরদোয়ান

১২

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩

আরব সাগরে ভারতের অভিযান, টার্গেটে পাকিস্তান

১৪

০৯ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

০৯ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

অবশেষে গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র আইভী

১৭

১৭ দিন পর রাজশাহী পলিটেকনিকে খুলল তালা

১৮

শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীদের স্লোগান, প্রধান শিক্ষককে শোকজ

১৯

স্বাস্থ্য পরামর্শ / মায়ের গর্ভেই থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয় পদ্ধতি

২০
X