এককালে তুমুল জনপ্রিয় ভিডিও ও অডিও কলিং সফটওয়্যার স্কাইপ চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে আজ সোমবার (৫ মে)। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘স্কাইপ ফর বিজনেস’ আরও কিছুদিন চালু থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কাইপ বন্ধের ঘোষণায় ইন্টারনেটে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হয়েছে।
মূলত, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পায় এই অ্যাপ। তার মধ্যে ২০১১ সালে ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপকে কিনেছিল মাইক্রোসফট। একপর্যায়ে স্কাইপের সক্রিয় মাসিক ইউজারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ কোটিরও বেশি।
স্কাইপ বন্ধ হওয়ার কারণ
হোয়াটসঅ্যাপ, জুম এবং মাইক্রোসফটের টিমস জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে স্কাইপকে ছাড়িয়ে যায়। পাশাপাশি মেসেঞ্জার অ্যাপগুলোতেও অডিও-ভিডিও কল চালু হলে স্কাইপের কথা মানুষ ভুলতে শুরু করে।
আর এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয়, নিজেদের যোগাযোগ সেবাকে সমন্বিত করার জন্য ৫ মে স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটি ‘টিমস’ এর উন্নয়ন ও পরিবর্ধনে মনোযোগ দেবে।
পুরোনো তথ্যের কী হবে
এদিকে, স্কাইপে বন্ধের পর কী হবে, কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ বা স্থানান্তর করতে হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে।
স্কাইপে আইডি ব্যবহার করেই সরাসরি মাইক্রোসফট টিমসে লগইন করা যাবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এমনকি ব্যবহারকারীদের আদান-প্রদান করা পুরোনো বার্তা, যোগাযোগের তালিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিমসে স্থানান্তর হয়ে যাবে। ফলে টিমস ব্যবহারের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না এবং পুরোনো সব তথ্য ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।
স্কাইপে বন্ধ হওয়ার পর ব্যবহারকারীদের মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করতেই হবে, তা নয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে গুগল মিট, জুমসহ অন্য যে কোনো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে ৫ মের মধ্যে নিজেদের আদান-প্রদান করা পুরোনো বার্তা, যোগাযোগের তালিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোর সংরক্ষণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বাজারে আসার পর থেকেই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যেত স্কাইপ। যদিও পরে বাড়তি কিছু ফিচারসহ পেইড সংস্করণও চালু হয়। ইন্টারনেটে পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল এটি।
মন্তব্য করুন