কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২২ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক বিতর্ক অনুষ্ঠিত

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক বিতর্ক। ছবি : কালবেলা
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক বিতর্ক। ছবি : কালবেলা

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। চ্যাটজিপিটির মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে ভালো-মন্দ অনেক কাজই এখন দ্রুত ও নিখুঁতভাবে করিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। এআই ক্রমশ মানুষের চেয়ে ক্ষমতাধর হয়ে উঠছে। স্বভাবতই বিশ্বের প্রযুক্তিবিষয়ক নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং নির্বাহীরা ভাবছেন, এআই কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে?

এই প্রশ্নকে সামনে রেখে আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিতর্কে মেতে উঠেছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতিকে মানুষের ভয় করা উচিত’ শীর্ষক এই বিতর্ক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান।

আলোচনা করেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিক রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক শাহ আহমেদ শফি।

বিতর্কে বিজয়ী হয়েছে পক্ষে দল। সেরা বক্তার পুরস্কার পান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব রায়হান মাহমুদ হান্নান। বাংলাদেশি প্রশিক্ষণার্থী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিশেষায়িত কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি প্রোগ্রামের পেশাদার মাস্টার্সের দু’জন বিদেশি অংশগ্রহণকারীও বিতর্কে অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, এআই প্রযুক্তির অগ্রগতি মানুষের জন্য সুখবর হলেও এটি নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ এই প্রযুক্তি ভুল মানুষের নিয়ন্ত্রণে গেলে তা হবে সভ্যতার জন্য হুমকি ও বিপজ্জনক। এআই চ্যাটবট পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। যন্ত্রের কাছে মানুষের পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহারের পাশাপাশি মানুষের কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অস্বীকার করা যাবে না ডিজিটাল বিভাজন ও বৈষম্যকেও।

বক্তারা এআই নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এআইর যতই অগ্রগতি হোক না কেন মানুষের প্রয়োজন কখনোই ফুরাবে না। কারণ এসব কিছুই করা হচ্ছে মানুষের জন্য। তবে বুদ্ধিমত্তা ও ক্ষমতার দিক থেকে এআইকে মানুষের নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তারা এ ধরনের প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ এবং অপব্যবহার বন্ধে কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি আইনগত সুরক্ষার ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্ব দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালদ্বীপে একদিনে দুই বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু

ডেস্কে বসে কাজ করছেন? যেসব লক্ষণে বুঝবেন ওজন বাড়ছে

বাড়ল ভোট দেওয়ার সময়

আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

মোদিকে নিয়ে মন্তব্য করায় বিপাকে ভারতীয় সংগীতশিল্পী

‘হিউম্যান রাইটস টিউলিপ’ পুরস্কারে মনোনীত তুলিকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

পলাশকে বিয়ে না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মান্ধানার

কে জিতল আর কে হারল, এটা দেখা আমাদের বিষয় নয় : এসপি আরেফিন জুয়েল

৪টি নতুন মডেলের রেফ্রিজারেটর বাজারে আনল মিনিস্টার

খেজুরের রস খেয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল কিশোরের

১০

অনুসন্ধানে দুদক / সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

১১

বিশ্বকাপ সামনে রেখে বড় চমক নামিবিয়ার

১২

অ্যালার্মে ঘুম ভাঙে? অজান্তেই বাড়াচ্ছেন শরীরের চাপ

১৩

সরাসরি মোদির কাছে বিচার চাইলেন পাকিস্তানি নারী

১৪

আন্দোলন ঠেকাতে ‘মব সৃষ্টির’ পরিকল্পনা ঢাকা কলেজ শিক্ষকের

১৫

আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৬

বিশেষ বৃত্তিসহ ৪ দফা দাবি জবি শিবিরের

১৭

হাসপাতালে নচিকেতা চক্রবর্তী

১৮

জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার ৯ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

১৯

মালয়েশিয়ায় আটক ৮৪৩, আছে বাংলাদেশিও

২০
X