রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গৃহবধূ ফাহমিদা তাহসিন কেয়া হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, ‘মেয়ে হত্যার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। আসামিরা কেয়ার বাবাকে হত্যা ও অপহরণের উদ্দেশ্যে দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে আসে। যার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। এভাবে ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে ভবিষ্যতে অনেকে আইনি পদক্ষেপ নিতে ভয় পেতে পারেন। মামলা করার পর যদি বাদী হুমকি বা হামলার শিকার হন, তাহলে সেটি সরাসরি ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে বড় বাধা তৈরি করে। এজন্য সাক্ষী ও ভুক্তভোগী সুরক্ষা আইন দ্রুত প্রণয়ন ও কার্যকর করা জরুরি। অবিলম্বে এজাহারভুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এ মামলার আসামিরা হলেন মনির, দিপা সিকদার ও মাহফুজ সিকদার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গৃহবধূ ফাহমিদা তাহসিন কেয়াকে গত ১৩ আগস্ট তার শ্বশুরবাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই আসামিপক্ষ কেয়ার মা ও বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর কেয়ার মাকে আসামি দিপা শিকদার ফোন করে প্রাণনাশের হুমকিসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বলেন। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পরে গত ৮ অক্টোবর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১২নং গেটের সামনে কেয়ার বাবা বাজার করতে গেলে আসামি মনির, দিপা সিকদার ও মাহফুজ সিকদারসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী কালো রঙের গাড়িতে এসে সাত দিনের মধ্যে মামলা উঠিয়ে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এসময় আসামিরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে কেয়ার সন্তানদের অপহরণের উদ্দেশ্যে তার বাসার দিকে রওনা দিলে উপস্থিত জনতার প্রতিরোধের মুখে আসামিরা যান।
এ ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর রমনা থানায় জিডি করলেও তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে থানায় যোগাযোগ করলে আদালতের দারস্ত হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন